প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে একাধিক জেলায় হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িতে হামলা, খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দারস্থ হয়ে বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাসিনা সরকারের সাথে কথা বলার অনুরোধ করেছেন ইসকন মন্দিরের কলকাতার ভিপি।
শুক্রবার বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার একটি ইসকন মন্দিরে মুসলিম সন্ত্রাসীরা হামলা করে এবং ধর্মীয় সংস্থার দাবী, হামলায় পার্থ দাস নামে তাদের এক সদস্যের মৃত্যু হয়। ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমন দাস বলেন, তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাড়িতে ফোন করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে যেকোনও সহিংসতা ঠেকাতে বাংলাদেশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ জানিয়েছেন।
রাধারমন দাস সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, "আমরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ফোন করেছিলাম এবং তার সচিবকে অনুরোধ করেছিলাম যে প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে যে, তিনি যেন বাংলাদেশে ভারত সরকারের প্রতিনিধির সাথে কথা বলেন।
একে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা বলে অভিহিত করে ইসকন কলকাতা ভিপি বলেন, 'সংস্থাটি জাতিসংঘকে একটি চিঠি লিখেছে এবং বিশ্বব্যাপী এই সংস্থার তরফে নিন্দা কর্মসূচী নিতে আহ্বান করেছে এবং বাংলাদেশে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর আবেদন জানিয়েছে।'
ইসকনের ন্যাশনাল কমিউনিকেশন ডিরেক্টর ব্রজেন্দ্র নন্দন দাস সংবাদ মাধ্যম রিপাবলিক মিডিয়া নেটওয়ার্কের সাথে কথা বলার সময় বলেন যে, সেখানে বসবাসকারী হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ভারতকে বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দিতে হবে।
তিনি বলেন, "আমাদের কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ ইসকনের ভক্তরা বাংলাদেশের পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে এবং তাদের অবিলম্বে ঘটনাস্থলে আসার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু, কেউই উদ্ধার কাজের জন্য আসেননি। হামলা শেষ হলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।"
ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসেসনেস শৃঙ্খলার কথা উল্লেখ করে ব্রজেন্দ্র নন্দন দাস বলেন, এই গ্রহের প্রত্যেকেরই বেঁচে থাকার অধিকার আছে। তিনি আরও মন্তব্য করেছিলেন যে কারও জীবনকে হত্যা করার অধিকার কারও নেই।
শুক্রবার, নোয়াখালী জেলার একটি ইসকন মন্দিরে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করা হয়, যাতে একজন ব্যক্তি নিহত হন। মুসলিম গুন্ডারা মন্দির ভাঙচুর করে এবং ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা এসি ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের ভাস্কর্য পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর এই ধরনের হামলা এই প্রথম নয়। বৃহস্পতিবার, দুর্গা পূজা উদযাপনের সময় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে নানুয়ার দীঘির তীরে পুজো মন্ডপে পবিত্র কোরানকে হনুমান মূর্তির পায়ের কাছে রেখে কতিপয় মুসলিমরা চক্রান্ত করে এবং হিন্দুদের ওপর হামলা করতে সেই ছবি ভাইরাল করে কোরান অবমাননার অভিযোগ তোলে। তখন কুমিল্লা জেলা পুলিশের সঙ্গে একটি গ্রুপের সংঘর্ষে তিনজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। খুলনা জেলার একটি হিন্দু মন্দিরের গেট থেকে অন্তত ১৮ টি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment