দেশের প্রায় সব জায়গাতেই পেয়ারা পাওয়া যায়। শীতের মৌসুমে বাজারে খুব দেখা যায়। পেয়ারা পাকলে হলুদ হয়ে যায়। এর পুরো ফলই ভোজ্য। শীতকালে পেয়ারা স্বাস্থ্যকর। শুধু পেয়ারা নয়, পেয়ারা পাতাও। ঔষধি গুণ রয়েছে।পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং ফাইবার।
এতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম ও ওজন নিয়ন্ত্রণে খুব ভালো।এই ফল খেলে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।পেয়ারা রক্তের অভাব পূরণ করে। পেয়ারা ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে।শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায় পেয়ারা। আসুন পেয়ারার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই
পেয়ারার উপকারিতা: সুগারের মাত্রা কমায়: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পেয়ারা খুবই উপকারী। কিছু গবেষণায় এমনও দেখা গেছে যে পেয়ারা খেলে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পেয়ারা পাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী। পেয়ারা পাতার চা পান করলে ব্লাড সুগার কমে যায়।
হার্ট ভালো রাখে: পেয়ারাতে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে অনেক ধরনের ভিটামিন পাওয়া যায়। যা ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে হার্টের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। পেয়ারায় উপস্থিত পটাশিয়াম এবং ফাইবার থাকায় এটি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়।
পিরিয়ডের ব্যথা কমায়: একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে পেয়ারা এবং পেয়ারা পাতা মহিলাদের পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সহায়ক। পেয়ারা পেটের খিঁচুনিও কমায়।
পেয়ারা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় :আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। এমন পরিস্থিতিতে পেয়ারায় উপস্থিত অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। পেয়ারা শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, শক্তিও দেয়।
ভালো হজম হয় :অন্যান্য ফলের তুলনায় পেয়ারায় সবচেয়ে বেশি ফাইবার থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। পেয়ারার বীজ গ্যাস ও বদহজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment