প্রেসকার্ড নিউস ডেস্ক : হৃদরোগের কারণে একজন ব্যক্তির জীবন ছোট হতে পারে। এজন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ গ্রহণের সাথে সাথে আমাদের খাবারের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি।
একটি গবেষণা অনুসারে, খারাপ জীবনধারা, ফাস্টফুড, জাঙ্ক ফুড, ধূমপান, উচ্চ প্রোটিন খাদ্য, অ্যাক্সেস স্টেরয়েড, উচ্চ টেনশন লেভেল, অনিয়মিত ঘুমের কারণে হার্ট অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। এজন্যই প্রয়োজন যে জীবনযাত্রার পাশাপাশি খাদ্যের ক্ষেত্রেও একটু পরিবর্তন আনতে হবে।
এই খাবার গুলি আমাদের ডায়েট এ আনতে হবে, সেগুলি হলো -
১. ডালিম:-
ডালিমের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। যাতে আমাদের হৃদয় সবসময় সুস্থ থাকে। অতএব, প্রতিদিন খালি পেটে বা খাবারের আগে ডালিম খান।
২.ফ্লেক্সসিডস:-
ফ্লেক্সসিডে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি পাওয়া যায়। এতে প্রোটিন, ফাইবার এবং ওমেগা-৩, ফ্যাটি এসিড ছাড়াও প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ফোলেট এবং জেক্সানথিন রয়েছে। শণ বীজে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা কোলেস্টেরল কমায় এবং ধমনীতে প্রদাহ রোধ করে। এর নিয়মিত ব্যবহার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক কমিয়ে দেয়।
৩. দারুচিনি:-
দারুচিনিতে রয়েছে ফাইবার, ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য, যা হার্টের ধমনীর ক্ষতি প্রতিরোধ করে। এর পাশাপাশি এটি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এটি ধমনীর ব্লকেজের ঝুঁকি হ্রাস করে। ডিকোশন আকারে দারুচিনি খাওয়া যায়।
৪. হলুদ:-
হলুদ খাওয়া হৃদরোগেও খুব উপকারী এবং যদি আপনার বাড়ির কেউ হৃদরোগে আক্রান্ত হন তবে অবশ্যই তার ডায়েটে হলুদ অন্তর্ভুক্ত করুন। হলুদ অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ যা হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। হৃদরোগীদের রাতে ঘুমানোর আগে হলুদ দুধ খাওয়া উচিৎ।
৫. রসুন:-
রসুন খাওয়ার ফলে রক্ত জমাট বাঁধে না এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। রসুন এবং মধুর মিশ্রণ খেলে হৃদযন্ত্রের দিকে ধমনীতে জমা চর্বি দূর হয়, যার কারণে রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে হৃৎপিণ্ডে পৌঁছায়। প্রতিদিন খালি পেটে রসুনের সাথে ২-৩ টি লবঙ্গ খান।
No comments:
Post a Comment