সুদূর টরোন্টোয় কর্ম সূত্রে বসবাস করেন বহু বাঙালি হিন্দু। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ আর বাংলাদেশের হিন্দুদেরই কর্ম সূত্রে বসবাস ও সংসার। কর্ম যেখানে সেখানে ধর্ম থাকবেই। বিশেষ করে বাঙালী হিন্দুদের মধ্যে সেই রীতি আছে। পরম্পরার এই বয়স কয়েকশো বছরের পুরানো বলেই বাংলার প্রতিমা সহ মাটির তৈরি পুজোর উপকরণ পৌঁছায় এই গ্রহের নানা দেশে। যেমন টরোন্টোতেও।
টরোন্টো শহরের ওন্টারিওতে আছে কালিবাড়ি। সেখানেই পঞ্জিকা মেনে পুজোর দিনক্ষণ লগ্নে দেবি দুর্গা পুজিত হচ্ছে। উদ্যোক্তা টরোন্টো শহরে বসবাস করা বাঙালীরা হলেও কয়েকজন তরুন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে করছেন পুজো।
বাংলায় যখন বুর্জ খলিফা থেকে উত্তর প্রদেশের কৃষকদের হত্যার প্রতিবাদে থিমে জুতোর ব্যবহারে বিতর্ক থেকে আদালত তখন টরোন্টোর কালি মন্দিরে দেবী পুজিত হলেন সাবেকী আনার মন্ডপ সাজানো থেকে দেবীর সাজগোজে।
দেবীর হাতে অস্ত্র। অসুর তাকিয়ে আছে দেবী দুর্গার দিকে। সামনে সাজানো প্রসাদ পিতলের থালায়। প্রদীপ ও মোমবাতির ব্যবহারের সাথে ছিল ধূপ ধুনোও। ফলে বাঙালী রীতিতে দেবী দুর্গা পুজো পেয়েছেন।
বিদেশের মাটিতে রুটি রুজির টানে যাওয়া বাঙালীরা কর্ম ব্যস্ততার ফাঁকেও সব জোগাড় করে নিয়মে নিষ্ঠায় খামতি রাখেননি। ও হ্যাঁ দেবী দুর্গা পুজো পেয়েছেন ব্রাক্ষণদের মন্ত্রেই। অঞ্জলি থেকে খাওয়া- দাওয়া, আচার-আনন্দ সবই হয়েছে নিয়ম মেনে।
No comments:
Post a Comment