শরীর সুস্থ থাকার জন্য অনেক পুষ্টির প্রয়োজন, যার মধ্যে একটি হল আয়রন। আয়রন শরীরে শক্তি দেওয়ার পাশাপাশি রক্তের অভাব পূরণ করে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকলে সে রক্তস্বল্পতার শিকার হতে পারে। আয়রনের ঘাটতি মেটাতে সবুজ শাকসবজি, ছোলা, গুড়, কলা ইত্যাদি খাওয়া হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন যে শরীরে আয়রনও অতিরিক্ত হলে মারাত্মক রোগের শিকার হতে পারেন।
শরীরে আয়রনের পরিমাণ বেশি হলে কোষের ওপর বেশি চাপ পড়ে। এর পাশাপাশি হৃদরোগ, লিভার ড্যামেজ, দুর্বল হাড়ের মতো নানা সমস্যায় পড়তে হতে পারে। স্বামী রামদেবের কাছ থেকে জেনে নিন কীভাবে কম করবেন আয়রনের আধিক্য?
শরীরে আয়রনের পরিমাণ বাড়লে এই লক্ষণগুলো দেখা যাবে:
লিভার বৃদ্ধি বা ব্যথা
ক্লান্তি
পেটে ব্যথা
অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
সংযোগে ব্যথা
অলসতা
পেশীর দূর্বলতা
হঠাৎ ওজন হ্রাস
আয়রন সমৃদ্ধ জিনিস কম খান
স্বামী রামদেবের মতে, যদি আপনার শরীরে আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকে, তাহলে পালংশাক, গুড়, সবুজ শাকসবজি, কিশমিশ, কুমড়া, তিসি ইত্যাদির মতো আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন।
ছাগলের নির্যাস:ঔষধি গুণে ভরপুর ছাগলের নির্যাস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। যদি আপনার শরীরে আয়রনের পরিমাণ বেড়ে যায়, তাহলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটেছাগলের নির্যাস খেলে সুবিধা পাবেন।
কায়কল্প কোয়াথ পান: ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে বান, সর্বকল্প কোয়াথ এবং কায়কল্প কোয়াথ পান করুন। এতে উপকার পাবেন।
অন্ত্র প্রক্ষলান: এটি শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। অন্ত্র প্রক্ষলান মানে অন্ত্র পরিষ্কার করা। স্বামী রামদেবের মতে, এই কাজটি করলে শরীরে আয়রন স্বাভাবিক পরিমাণে আসবে।
অনুলোম ভিলোম: অনুলোম ভিলোম আয়রনের আধিক্য কমাতেও বেশ কার্যকরী। এই প্রাণায়ামটি প্রতিদিন ১০ মিনিট থেকে আধা ঘন্টা পর্যন্ত করা যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment