আমরা সুস্থ থাকতে শুকনো ফল খাই কারণ শুকনো ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। শুকনো ফলের কথা বলতে গেলে, অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে কাজুবাদাম, বাদাম, আখরোট, ডুমুর, পেস্তা ইত্যাদি খেয়েছেন। কিন্তু আপনি কি কখনো টাইগার বাদাম খেয়েছেন? টাইগার বাদাম স্থানীয়ভাবে আর্থ নাট এবং গ্রাউন্ড নাট নামে পরিচিত।
এটিও এক ধরনের শুকনো ফল, দেশ ছাড়াও এটি মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ ইউরোপ এবং আফ্রিকার মতো দেশেও পাওয়া যায়। এগুলো প্রধানত দুই প্রকারে পাওয়া যায়, কালো এবং হালকা বাদামী। একে বাদামের মতো ভেজে খাওয়া উপকারী বলে মনে করা হয়। আসুন জেনে নেই টাইগার বাদামে উপস্থিত পুষ্টিগুণ এবং এর সেবনের অতুলনীয় উপকারিতা।
টাইগার বাদামে পুষ্টি উপাদান: টাইগার বাদামে রয়েছে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, মিনারেল, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিংক, ফসফরাস ইত্যাদি পুষ্টিকর উপাদান। এ ছাড়া এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ শরীরকে রোগের ঝুঁকি থেকে বাঁচায়।
ক্যান্সার এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ: টাইগার বাদামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি খেলে শরীরের কোষগুলো ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়। এইভাবে, রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কম। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে ক্যান্সার এবং হার্ট সংক্রান্ত নানা ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
হার্টের জন্য উপকারী: টাইগার বাদামে মনোঅনস্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে। এমন অবস্থায় এটি খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি শরীর থেকে কোলেস্টেরল বাড়িয়ে এবং খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে কাজ করে। এটি শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। সুস্থ হৃদয় থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। বিশেষজ্ঞদের মতে, টাইগার বাদাম খেলে হৃদপিণ্ডের শিরা ও ধমনী সঙ্কুচিত হয় না। সেই সঙ্গে তাদের মধ্যে নমনীয়তা বজায় থাকে।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি: এতে উপস্থিত ভিটামিন ই চোখের জন্য উপকারী। টাইগার বাদাম প্রতিদিন ব্যবহার করলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়।
ডায়বেটিসে উপকারী: টাইগার বাদামে অ্যামিনো অ্যাসিড আর্জিনিন বেশি পরিমাণে থাকে। এর ব্যবহার শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করে। এই অ্যাসিডগুলো শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। এই ক্ষেত্রে, এটি ব্যবহার করলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়।
পাচনতন্ত্র শক্তিশালী করা: টাইগার বাদামে ফাইবার বেশি থাকে। এটি খাওয়া হজমে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত এনজাইম হজম শক্তিকে ত্বরান্বিত করে। এমন অবস্থায় পেট সংক্রান্ত সমস্যা যেমন ডায়রিয়া, অম্বল, বদহজম, অ্যাসিডিটি ইত্যাদি এড়ানো হয়। এতে কার্বোহাইড্রেটও ভালো পরিমাণে পাওয়া যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ শরীরকে সংক্রমিত হতে বাধা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, টাইগার বাদামের নির্যাস অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
No comments:
Post a Comment