কুমড়ো খেতে আমরা সকলেই ভালোবাসি। এই কুমড়োর পাশাপাশি এর বীজও উপকারী। এটি খাওয়া বড় রোগ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে। কুমড়ো তে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। শুধু কুমড়ো ও এর বিচির মধ্যেই অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফোলেট, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন বি২সমৃদ্ধ। ডায়াবেটিস রোগীকে অবশ্যই তা খেতে হবে। আসুন জেনে নিই এর উপকারিতা সম্পর্কে
১.কুমড়োর বীজ অক্সিডেটিভ কমিয়ে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তে চিনির মাত্রা এর ব্যবহার দ্বারা বজায় থাকে। এই বীজগুলি অবশ্যই ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ।
২. কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়, ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. কুমড়োর বীজে থাকে কুকুরবিটাসিন, যা এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আপনি মাথার ত্বকে কুমড়োর বীজের তেলও লাগাতে পারেন, পাশাপাশি প্রতিদিন এক মুঠো কুমড়োর বীজও খেতে পারেন।
৪.কুমড়ো বীজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং ক্যারোটিনয়েড রয়েছে। এটি প্রদাহেও উপশম দেয়। এটি কোষকেও রক্ষা করে।
৫.এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার রয়েছে, যা হার্টের জন্য স্বাস্থ্যকর। বীজ খাওয়া খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং ভালো কোলেস্টেরল উন্নত করতে সাহায্য করে। এর সেবনে রক্ত চলাচলও ভালো হয়।
৬. মানসিক চাপের কারণে অনেক মানুষ ঠিকমত ঘুমায় না। এক্ষেত্রে অবশ্যই কুমড়োর বীজ খান। এতে উপস্থিত সেরোটোনিন ভালো, যা প্রাকৃতিক ঘুমের দিকে নিয়ে যায়।
৭. বাত ব্যথায় কুমড়োর বীজের তেল লাগালে জয়েন্টের ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment