প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও থেকে একটি ভয়াবহ ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কেটি স্টাবলফিল্ড নামে এক ২১ বছর বয়সী মেয়ে প্রায় তিন বছর আগে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল কিন্তু সে ভাগ্যবান ছিল তাই সে বেঁচে যায়। কিন্তু ব্যর্থ আত্মহত্যার চেষ্টায় কেটির মুখ খারাপ হয়ে যায়। কেটি এখন দেখতে ভয়ঙ্কর প্রাণীর মতো। সিএনএন -এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮ বছর বয়সে কেটি নিজেকে গুলি করে। আত্মহত্যার এই চেষ্টায় তার নাক, মুখ এবং চোখ খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।কেটির চোখ জায়গা থেকে বাইরে বার হয়ে যায়,যার কারণে তার দৃষ্টিশক্তিও খারাপভাবে প্রভাবিত হয়েছিল।
বলা হয়েছে, এত অল্প বয়সে কেটি আবেগগতভাবে বিরক্ত হতে শুরু করে। যার পরে তিনি পরিস্থিতি থেকে বিরক্ত হয়ে এইরকম ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এই আত্মহত্যার চেষ্টায় কেটির মৃত্যু হয়নি, কিন্তু তার অবস্থা ছিল খুবই সংকটজনক। কেটিকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে চিকিৎসকদের একটি দল ৩১ ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রমের করে সফলভাবে কেটির মুখ প্রতিস্থাপন করে। কেটি মোট ১৭ টি অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কেটির মুখের ১০০ শতাংশ প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল।
কিন্তু ফেস ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারির এই রাউন্ডটিও কেটির জন্য সহজ ছিল না। কারণ তিনি তার মুখ প্রতিস্থাপনের জন্য কোন দাতা পাচ্ছিলেন না। যার কারণে তাকে দীর্ঘ এক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল। কেটির মুখ ২০১৭ সালের মে মাসে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। কেটি বিশ্বের ৪০ তম ব্যক্তি যিনি মুখের প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার করেছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে ট্রান্সপ্ল্যান্টের পরেও কেটির জীবন বিপদে রয়ে গেছে। তাকে এখন সারাজীবন মেডিকেল টেস্ট করতে হবে, যাতে ট্রান্সপ্ল্যান্ট প্রত্যাখ্যান শনাক্ত করা যায়।
No comments:
Post a Comment