প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে উপনির্বাচনের প্রচারের আজই শেষ দিন। তৃণমূল এবং বিজেপি উভয় দলই জোরকদমে প্রচার সূচি করছেন। মন্ত্রী থেকে শুরু করে কর্মী, প্রত্যেকেই প্রচারের শেষ দিনে ভোটারদের তাদের অনুকূলে আনতে কোন প্রকার চেষ্টা বাকি রাখতে চাইছেন না। ফলত নির্বাচনী লড়াইয়ে নিজ নিজ প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে ব্যস্ত প্রভাবশালীরাও।
এই ধারা অব্যাহত রেখেই তৃণমূল সুপ্রিমোর হয়ে প্রচারে নেমেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এই সময় এবিপি নিউজের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'লড়াই চলছে এবং এই লড়াইয়ে অংশ নেওয়া বিজেপি প্রার্থীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিল খাচ্ছে না। তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন ভারতের নেতা হয়েছেন এবং তাঁর সঙ্গে লড়াইয়ের সময় ভবানীপুরের সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে কাকে ভোট দিতে হবে, আর কাকে নয়।
শোভনদেব বলেন, একুশের নির্বাচনে শেষবার দেশের সব বিশিষ্ট নেতারা বিজেপির পক্ষ থেকে প্রচারে এসেছিলেন, তবুও এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় হয়। এবারও ৭০, ৮০ বা ১০০ জন নেতা আসতে পারেন কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন, এতে কোন সন্দেহ নেই।'
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, 'বিজেপি নেতারা নির্বাচনী প্রচারণার সময় আইন ভঙ্গ করছেন। নির্বাচন কমিশনের মতে, নির্বাচনী প্রচারণায় ৫ জনের বেশি লোক থাকতে পারবে না। গতকালই যখন সিপিএম প্রচারণা চালাচ্ছিল, পুলিশ তাদের বাধা দেয়। কিন্তু যখন মাত্র ৫ জন লোক এসেছিল, তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।'
হুগলীর বিজেপি লকেট চ্যাটার্জী তৃণমূলে শীঘ্রই যোগ দিতে পারেন বলেও দাবী করেন তিনি। সেইসঙ্গেই বলেন, 'তিন থেকে চারজন বাদে সবাই তৃণমূলে যোগ দেবে। এখানকার নেতারা বুঝতে পেরেছেন যে বাংলায় বিজেপির কোনও ভবিষ্যৎ নেই। এই কারণেই অনেক বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগ দেবেন।'
উল্লেখ্য, লকেটের তৃণমূলে যোগ নিয়ে জল্পনা আগে থেকেই শুরু হয় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের একটি ট্যুইটার পোস্ট ঘিরে। যেখানে লকেটকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভবানীপুরে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার না করার জন্য। এরপর তৃণমূলের বরিষ্ট নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের লকেটের তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে মন্তব্য করে সেই জল্পনাই যেন আবারও উস্কে দিলেন।
No comments:
Post a Comment