প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: উরি হামলার পর, পাকিস্তানকে তার ঘৃণ্য কাজের জন্য উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য করা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক পাঁচ বছর পূর্ণ করতে চলেছে। নিজের কুকীর্তির জন্য প্রতিবার উচিৎ শিক্ষা পেলেও নিজের অবস্থান পরিবর্তন করছে না পাকিস্তান। বর্তমানে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর সন্দেহজনক কার্যকলাপ ধরা পড়েছে। সেনাবাহিনী তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। এই কাজে সাহায্য করার জন্য, বারামুল্লার উরি সেক্টরে মোবাইল টেলিফোনি এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। মঙ্গলবার তৃতীয় দিনেও এই তল্লাশি অভিযান চলছে। সূত্রের খবর, এই এলাকায় সন্দেহজনক অনুপ্রবেশের ঘটনার কারণে তল্লাশি অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী তল্লাশি অভিযান জোরদার করেছে। ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যরাতে সেনাবাহিনী উরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখার পাশে "সন্দেহজনক কার্যকলাপ" সনাক্ত করেছিল। এর পর এলাকায় অভিযান শুরু হয়। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সোমবার দ্বিতীয় দিনও অভিযান অব্যাহত ছিল এবং অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে এটি আরও জোরদার করা হয়েছে। তারা বলেন, ওই এলাকায় মোবাইল টেলিফোনি ও ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে, অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সন্ত্রাসীরা জম্মু-কাশ্মীরের উরিতে সেনাবাহিনীর ওপর কাপুরুষোচিত আক্রমণ চালায় (পিওকে-তে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক)। সেখানে ১৯ জন জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন। এই ঘটনার ঠিক দশ দিন পর, ২৮ সেপ্টেম্বর, আমাদের দেশের সেনাবাহিনীর জওয়ানেরা শহীদ জওয়ানদের হয়ে প্রতিশোধ নেয় এবং পিওকে -তে ঢুকে সন্ত্রাসীদের নিকেশ করে। সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ দল সন্ত্রাসীদের আস্তানাও ধ্বংস করে দেয়
প্রসঙ্গত, জাইশ-ই-মহম্মদের চারজন সন্ত্রাসী ১৮ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে উরির সেনা সদর দফতরে হামলা চালায়। সবাই এলওসি অতিক্রম করে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করে। সদর দফতরে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে তিন মিনিটের মধ্যে ১৭ টি গ্রেনেড দিয়ে সেনা শিবিরকে নিশানা করে। হামলার পর ক্যাম্পে আগুন ধরে যায় এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এরপর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর এনকাউন্টার চলে প্রায় ছয় ঘণ্টা। যেখানে চারজন সন্ত্রাসীকে মারতে সক্ষম হয় সেনাবাহিনী।
No comments:
Post a Comment