ধসে গেল পুরানো বাড়ি, ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার বৃদ্ধা - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, 5 September 2021

ধসে গেল পুরানো বাড়ি, ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার বৃদ্ধা


প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : বড়বাজারের বাবুলাল লেনে রাতের অন্ধকারে একটি পুরানো বাড়ির এক অংশ ভেঙে পড়ে।  বড় দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন এক বৃদ্ধা।  স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত ৩ টার দিকে বাড়ির একটি নির্জন অংশ ধসে পড়ে।  যদিও কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি।তবে পাড়ার এক বৃদ্ধ মহিলা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেড এবং দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী।  প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যেই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল।  পুলিশ সূত্র জানায়, তিনি আহত হননি।


কিছুদিন আগে কলকাতার ট্যাংরা থানা এলাকায় বৈশালীতে বিস্ফোরণে একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে।  ওই সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় রক্ষা পায় পরিবারের সদস্যরা।  ফরেনসিক টিমের অনুমান, বাষ্প মেঘের বিস্ফোরণের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।  ব্যস্ত সকালে হঠাৎ একটা বিকট শব্দ হয়।  বাড়ি ভেঙে পড়ে।  একতলা বাড়ির অ্যাসবেস্টস উড়ে যায়।  দেয়াল ভেঙে পাশের বাড়ির দেয়ালে আটকে যায়।


ট্যাংরা থানা এলাকার বৈশালী এলাকার একটি বাড়িতে সকাল ১০ টার দিকে এই বিস্ফোরণ ঘটে।  সংঘর্ষটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে আশেপাশের ৫ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  ঘটনার সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় বেঁচে যান বাড়ির লোকজন। বাড়িওয়ালার দাবী, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হতে পারে।  বাড়ির মালিক নিমাই দাস বলেন, 'বিস্ফোরণের সময় বাড়িতে কেউ ছিল না।  আমি রান্না করে বাইরে গেলাম।  তখনই বিস্ফোরণ ঘটে।'


বিস্ফোরণের ফলে জনবহুল এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।  প্রতিবেশীরা জানান, বিকট শব্দ হয়েছে।  তারা আতঙ্কে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। যখন পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গ্যাস সিলিন্ডার সম্পূর্ণ অক্ষত ছিল।  ফরেনসিক টিমও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।  ফরেনসিক অফিসার তন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, আমি পরীক্ষা করে দেখেছি গ্যাস সিলিন্ডারের কোনো ক্ষতি হয়নি।  যা ঘটেছে তাকে বাষ্প মেঘ বিস্ফোরণ বলে।  সিলিন্ডার রেগুলেটরে সমস্যা ছিল।


বিশেষজ্ঞদের মতে, বাষ্প মেঘ বিস্ফোরণ ঘটে যখন প্রচুর পরিমাণে দাহ্য বাষ্প বা পদার্থ বায়ুর সংস্পর্শে আসে এবং জ্বলতে থাকে।  তাহলে বিগ ব্যাং হতে পারে।  বিস্ফোরণের প্রভাব সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।  প্রাথমিক অনুমান হল যে ট্যাংরাতে এটি ঘটেছিল।  তবে পুলিশ ফরেনসিক বিভাগের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad