পশ্চিমবঙ্গকে বৃহত্তর বাংলাদেশ তৈরি করাই তৃণমূলের চূড়ান্ত লক্ষ্য: সুকান্ত মজুমদার - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 25 September 2021

পশ্চিমবঙ্গকে বৃহত্তর বাংলাদেশ তৈরি করাই তৃণমূলের চূড়ান্ত লক্ষ্য: সুকান্ত মজুমদার


প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন দলের চূড়ান্ত লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গকে আলাদা করা এবং বৃহত্তর বাংলাদেশ তৈরি করা।" রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিজেপি নব নির্বা‌চিত রাজ্য সভাপতি। শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার যোগ করেন যে, তৃণমূল দুর্বল এবং বিজেপির মত শক্তিশালী মতাদর্শ তাদের নেই। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিজেপিকে 'কোন আদর্শ ছাড়াই গ্যাস বেলুন' বলে কটাক্ষের পরিপ্রেক্ষিতে একথা বলেন সুকান্ত মজুমদার।


সুকান্ত মজুমদার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য়ের উত্তর দেওয়ার সুযোগও হাতছাড়া করেননি এদিন। উল্লেখ্য, অভিষেক একদিন আগেই বলেছিলেন 'যদি টিএমসি তার দরজা খুলে দেয় তবে সমস্ত বিজেপি নেতারা এতে যোগ দেবেন'। বিজেপির নবনিযুক্ত রাজ্য সভাপতি বলেন, "অভিষেক ব্যানার্জী যাই কিছু বলুন না কেন, যারা বিজেপির আদর্শকে বিশ্বাস করে, যারা হৃদয় থেকে ভারত মাতা কি জয় বলে, তারা কখনই টিএমসিতে যোগ দিতে পারে না।" 


গত সপ্তাহে, বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় যোগ দেন টিএমসিতে। বাবুল সুপ্রিয়, যিনি মাত্র কিছুদিন আগে রাজনীতি ছেড়েছিলেন এবং কোন রাজনৈতিক শক্তির সাথে যুক্ত না হয়েও তার ধারাবাহিকতার জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তৃণমূলের বরিষ্ঠ নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন এবং সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির উপস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন টিএমসিতে যোগ দেন। 


বাবুলের এই পদ্ম থেকে জোড়া ফুলে ঝাঁপ দেওয়ার প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন "যদি টিএমসি তার দরজা খুলে দেয় তবে বিজেপির সমস্ত নেতারা এতে যোগ দেবেন"। টিএমসির মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, "অনেক বিজেপি নেতা টিএমসি নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তারা বিজেপিতে সন্তুষ্ট নন। বাবুল সুপ্রিয় আজ যোগ দিয়েছেন, আরেকজন আগামীকাল যোগ দিতে চান। এই প্রক্রিয়া চলবে। অপেক্ষা করুন এবং দেখুন।" 


তিনি যোগ করেছিলেন, "বিজেপি শুধু একটি গ্যাস বেলুন। বিজেপির কোন আদর্শ নেই। কেউ তাদের জনবিরোধী নীতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না। যে কারণে মানুষ দল ছেড়ে চলে যাচ্ছে।" 


প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এক দফা দলবদলের সাক্ষী থেকেছে বাংলা। নির্বাচনের পরেও সেই ধারা অব্যাহত। তফাৎ শুধু, নির্বাচনের আগে পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে পদ্ম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সকলে। দলবদলের এই বিপরীত ধারা শুরু হয় যেদিন বিজেপির হেভিওয়েট মুকুল রায় এবং তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad