নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: হাতে গোনা কটা দিন আর মাত্র বাকি, তারপরেই স্বপিবারে মায়ের আগমন। কিন্তু মায়ের আগমনের তোরজোড়ে সেরকম ব্যস্ততা চোখে পরছে না। সৌজন্যে করোনা। তবুও নেশার টানে, পেটের দায়ে মায়ের মূর্তি গড়ছেন মৃৎ শিল্পীরা। স্বল্প সংখ্যক হলেও যদি বায়না পাওয়া যায়, সেই আশাতেই মূর্তি গড়ছেন তারা।
এবারের দূর্গা পুজোতেও করোনার ছায়া পড়েছে কুমারটুলির শিল্পীদের ওপর। প্রতি বছর এই সময় চরম ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটান সব মৃৎ শিল্পীরা। কিন্তু গত বছরের মত এ বছরেও মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা চোখে পরেনি। তবু আশায় আছেন তারা, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং তাদের হাতের তৈরী দূর্গা মায়ের মূর্তি পাহাড়ে পাড়ি দেবে।
সমতলের কুমারটুলির শিল্পীরা মূলত পাহাড়ের পূজোর দিকেই চেয়ে থাকেন। কিন্তু এবছর সেরকম বড় কোন অর্ডার আসেনি। সিকিমে যত সংখ্যক মূর্তি যেত, তাও অনেকটা কমে গেছে। হাতে সময় না থাকলেও তবু আশা, পুজোর চার পাঁচদিন আগে হয়তো অর্ডার পাবেন এবং তাদের হাতের তৈরী মায়ের মূর্তি পাড়ি দেবে পাহাড়ে।
কুমারটুলির মৃৎ শিল্পীরা জানান, 'করোনা সব শেষ করে দিল। আগামীতে কি হবে ভাবতে পারছি না। যেভাবে জিনিস পত্রের দাম বেড়ে চলেছে, তাতে মূর্তির ন্যায্য মূল্য চাইলেও পূজোর উদ্যোক্তারা মুখ ঘুরিয়ে চলে যায়। তারা আরও বলেন, 'এবছর এখন পর্যন্ত মাত্র ২৫ থেকে ৩০ টা মূর্তির অর্ডার পেয়েছি। যেখানে করোনার আগের বছর গুলোতে কয়েকশো মূর্তির অর্ডার পেতাম। বুঝতেই পারছেন, আমাদের অবস্থা কেমন।
No comments:
Post a Comment