প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: কয়লা কেলেঙ্কারি কাণ্ডে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১২ অক্টোবর দুপুর ২টোয় স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিল দিল্লীর পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দিল্লীর পাতিয়ালা হাউস কোর্টে হাজির হন রুজিরা। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নয় আদালত এবং তাকে স্বশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কয়লা কেলেঙ্কারি কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল। এর আগে তাকে কয়েকবার তলব করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি হাজির হয়নি।
তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, বারবার সমন পাঠানো সত্ত্বেও তিনি হাজির হচ্ছেন না। এই ক্ষেত্রে, ইডি পাতিয়ালা হাউস কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাতিয়ালা হাউস কোর্ট রুজিরাকে আদালতে তলব করেছিল। ১৯ সেপ্টেম্বর সমন পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু রুজিরা বলেছিলেন যে, তিনি ব্যক্তিগত কারণে হাজির হননি।
কয়লা পাচারের অভিযোগে ১ সেপ্টেম্বর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লীতে তলব করে। কিন্তু ১ সেপ্টেম্বর দিল্লী যাননি রুজিরা। তিনি একটি চিঠি দিয়েছিলেন, যেহেতু এই মুহূর্তে করোনা মহামারী চলছে এবং তার দুই সন্তান আছে ও তাদের নিয়ে তিনি ভ্রমণ করতে পারবেন না। এর পরে, ইডি তাকে আবার তলব করে। তিনি বলেছিলেন যে করোনার সময় তার পক্ষে দিল্লী যাওয়া এবং দুই সন্তানকে সাথে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তিনি ইডি কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর বাড়িতে আসার অনুরোধ করেন। রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই বিষয়ে ইডি -র কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ৬ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লীতে ইডি অফিসে হাজির হয়েছিলেন। ইডি তাকে ৯ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর পরে, আবার তলব করা হলে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। অভিষেক দিল্লী হাইকোর্টে কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তকারী ইডি কর্তৃক এই মামলায় তাকে পাঠানো সমনকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। আবেদনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের কাছে দাবী করেছেন যে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কর্তৃক তাকে এবং তার স্ত্রী রুজিরাকে দিল্লীতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠানো সমন বাতিল করা হোক। কিন্তু আদালত তাদের দাবী মানতে অস্বীকার করে। প্রসঙ্গত ইডি তাকে মানি লন্ডারিং বিরোধী আইনের (পিএমএলএ) ধারা ৫০- এর অধীনে তলব করেছিল।
No comments:
Post a Comment