প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: কারি পাতা খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির জন্য আমরা সাধারণত ব্যবহার করে থাকি। খাবার সুস্বাদু করার জন্য ফোঁড়ন হিসেবে এর ব্যবহার করেন অনেকেই। যদিও দক্ষিণ ভারতীয় খাবার তৈরির সময় এর ব্যবহার বেশি, তবে এর ব্যবহার আর সেখানেই সীমাবদ্ধ নয়। পাশাপাশি এটি যে কেবল খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির জন্য প্রসিদ্ধ তা নয়, এটি স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। ওজন কমানো থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস, চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানেও এর অবদান অনস্বীকার্য। একনজরে এর উপকারিতা এবং ব্যবহারের পদ্ধতি জেনে নেওয়া যাক-
চুল পড়ার জন্য - এর জন্য, আপনি চুলে যে তেলই লাগান না কেন, ১ মুঠো কারি পাতা তাতে যোগ করুন এবং কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। তেল এবং কারি পাতার রং গাঢ় হয়ে গেলে তেল ঠান্ডা করে কাঁচের পাত্রে ঢেলে রাখুন। রাতে এই তেল চুলে লাগান এবং সকালে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
খুশকির জন্য- এর জন্য কারি পাতার পাতলা পেস্ট তৈরি করুন। টক বাটার মিল্কের মধ্যে এই পেস্ট মিশিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এই পদ্ধতি প্রয়োগ করুন।
ওজন কমাতে- এর জন্য, ১০ থেকে ২০ টি কারি পাতা নিন এবং সেগুলি জলে ফোটান ভালো করে। কয়েক মিনিট পর জল ছেঁকে নিন একটি গ্লাসে। এতে এক চামচ মধু এবং লেবুর রস যোগ করে পান করুন। ওজন দ্রুত কমতে শুরু করবে।
ডায়াবেটিসের জন্য- সকালে খালি পেটে ৮ থেকে ১০ টা টাটকা কারি পাতা চিবিয়ে খান বা এর রস বের করে পান করুন। এছাড়াও এটি পানীয়, ভাত, সালাদ, এসব খাবারের মধ্যে দিয়েও খেতে পারেন।
No comments:
Post a Comment