প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: করোনার প্রকোপের মাঝেই অজানা জ্বরের আতঙ্ক। রাজ্য জুড়ে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। করোনা সংক্রমিত না হয়েও জ্বরে কাবু শিশুরা। সঙ্গে বমি, পেট ব্যথা। এমন অবস্থার জন্য নতুন কোনও ভাইরাস দায়ী কিনা, সেই নিয়ে উদ্বেগে চিকিৎসক মহল। এমনকি অজানা জ্বরের ভাইরাস শনাক্তকরণে হু'-এর সঙ্গেও আলোচনায় বসেছেন শিশু বিশেষজ্ঞরা। এই কঠিন পরিস্থিতিতে শিশুদের জন্য চিন্তায় তাদের বাবা-মায়েরা। কী করা উচিৎ, আর কী নয়, সেই ভেবেই দিশেহারা তারা। এমতাবস্থায় চিকিৎসকেরা দিচ্ছেন কিছু পরামর্শ। কী করবেন এবং কী করা একেবারেই এই সময় উচিৎ নয়- এই বিষয়ে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ টিমের সদস্য ডঃ শান্তনু হাজরা।
তাঁর মতে, এই সময় শিশুকে যতটা সম্ভব ঘরেই রাখুন। স্নান করান ঈষদুষ্ণ জলে। ঘরে রান্না করা খাবার দিন। শিশুকে প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রুত পানীয় জল পান করতে দিন। আরও যা করবেন-
শিশুকে ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট ( ওআরএস) দিন।
অল্প জ্বর হলে প্যারাসিটামল দিন।
কাজ না হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
করোনা পরীক্ষা করান।
শিশুকে মরশুমি ফল খেতে দিতে পারেন।
কি করবেন না
বাইরের খাবার খাওয়ানো এড়িয়ে যান যতটা সম্ভব।
জ্বর, সর্দি,পেটের সমস্যা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে বাড়িতেই বসে থাকবেন না।
শিশুকে অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা করতে না দেওয়াই বর্তমানে শ্রেয়, কেননা এই জ্বর ছোঁয়াচে।
নতুন এই রোগের লক্ষণ
সাধারণ জ্বর অথবা খিঁচুনি দিয়ে জ্বর।
প্যারাসিটামল খেয়েও জ্বর না কমা, শ্বাসকষ্ট, পেটে ব্যথা, পাতলা পায়খানা।
ডঃ শান্তনু হাজরা বলেন, "জ্বর ছাড়াও এখনও শিশুদের তেমন খারাপ কিছু পাওয়া যায় নি। তবে, কিছু শিশুর খিঁচুনি দিয়ে জ্বর আসছিল। তাই আমরা অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিস সিনড্রোমের পরীক্ষা করতে বলেছি। রক্ত পরীক্ষা সহ অন্য পরীক্ষাগুলো করা হচ্ছে।"
উত্তরবঙ্গের চার জেলা; দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে অজানা এই জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে বিপুল পরিমাণে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন জেলায় কতজন ভর্তি- দার্জিলিংয়ে প্রায় ১৭, জলপাইগুড়িতে প্রায় ১৬০, আলিপুরদুয়ারে প্রায় ১৫০ ও কোচবিহারে প্রায় ১২৬ জন।
এছাও বহির্বিভাগে থাকা রোগীর সংখ্যা হল- দার্জিলিং গড়ে ৪০০, জলপাইগুড়ি গড়ে ৩৫০, আলিপুরদুয়ার গড়ে ৫০০ ও কোচবিহার গড়ে ৪০০।
No comments:
Post a Comment