গাইঘাটায় বিজেপিতে ভাঙ্গন অব্যাহত, শক্তি বাড়াচ্ছে শাসকদল। ফুলশড়া গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা অনুশ্রী দাস সাহা ও চাঁদপাড়া বিজেপির যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি সহ ৫০০ জন কর্মী-সমর্থক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। ফলে ওই এলাকার বিজেপির পার্টি অফিস হাতছাড়া হয় তাদের। রবিবার বিকালে তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আলো রানী সরকার ও গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য গোবিন্দ দাস। এদিনের এই যোগদান মেলায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী ইলা বাগচি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান সংকর দত্ত সহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।
বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দলে কাজ করা যাচ্ছিল না। ফলে মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নের শরিক হতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছে বলে জানান দলত্যাগীরা।
তবে পার্টি অফিস দখল হয়েছে মানতে নারাজ তৃণমূল। তাদের দাবি এখানে যারা বিজেপি ছিল সবাই তৃণমূল হয়ে গিয়েছে। ফলে পার্টি অফিস চালানোর মতো তাদের কেউ নেই। তৃণমূল পার্টি অফিস দখলের রাজনীতি করে না।
এ বিষয়ে বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, সারা রাজ্যে তালেবানি শাসন চলছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভাবে ধমকানি চমকানি প্রশাসন দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আমাদের কর্মকর্তাদের নিয়েছে। বাঁচার তাগিদে তারা গিয়েছে। তবে তারা যেখানেই থাক মনেপ্রাণে বিজেপি।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে দলত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওগুলি সব তৃণমূলের শেখানো কথা। একদল থেকে আরেক দলে গেলে এমন বলতে হয়।
পার্টি অফিস হাতছাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা তৃণমূলের কালচার। জোর করে আমাদের পার্টি অফিস দখল করেছে। পার্টি অফিসটি আমাদের ভাড়ার ছিল। অ্যাক্টিভ মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে অন্যদিকে খুন খারাপির ভয়ে আমরা প্রতিবাদ করিনি।
No comments:
Post a Comment