প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক:পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে মানুষকে বিনামূল্যে খাবার খাওয়ানো হয়। কাশীর অন্নপূর্ণা মন্দির, সিরডির সাই বাবা মন্দির ইত্যাদি। এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ একসঙ্গে খায়।
এর পাশাপাশি গুরুদ্বারগুলিতেও লঙ্গার চালানো হয়। যেখানে ভক্তরা সেবা প্রদান করে এবং বিনিময়ে খাবার খায়। আজ আমরা আপনাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ল্যাঙ্গার সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি, যেখানে প্রতিদিন ৫০-৭০ হাজার মানুষ আসেন এবং প্রসাদ গ্রহণ করেন। একটি বিশেষ উৎসবে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখেরও বেশি।
আমরা এখানে অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরের কথা বলছি। দেশ -বিদেশের মানুষ অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির দর্শন করতে আসে। এখানে আসা প্রত্যেক ব্যক্তি লাঙ্গারে প্রসাদ গ্রহণ করে। মন্দিরে লঙ্গরের ঐতিহ্য শুরু হয়েছিল গুরু নানক দেব জি দ্বারা। অমরদাস জি তাঁর এই ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটি করেছিলেন।
স্বর্ণ মন্দির নিয়মিতভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের জন্য খাবার রান্না করে এবং সম্ভবত এ কারণেই এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রান্নাঘর বলা হয়। স্বর্ণমন্দিরে খাবার রান্না করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার চাকর এখানে সেবা করে
এখানে ১২,০০০ কেজি ময়দা,১৩০০০ কেজি ডাল,১৫০০ কেজি চাল এবং ২০০০ হাজার কেজি সবজি প্রতিদিন প্রসাদ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। হ্যাঁ, এবং মন্দিরে প্রতিদিন ২ লক্ষেরও বেশি রুটি তৈরি হয়। রুটি তৈরির জন্য একটি মেশিন ব্যবহার করা হয়। এই রুটি তৈরির মেশিনটি ঘন্টায় ২৫,০০০ রুটি তৈরি করে
মন্দিরে ভক্তদের খাবারের পাশাপাশি খিরও দেওয়া হয়, যার জন্য ৫০০০ লিটার দুধ,১০০ কেজি চিনি এবং ৫০০ কেজি ঘি ব্যবহার করা হয়। স্বর্ণমন্দিরের রান্নাঘরে ৪৫০ জন মানুষ এবং স্বেচ্ছাসেবীরা রান্নার কাজ করে। স্পষ্টতই, যখন এত বড় পরিমাণে খাবার তৈরি করা হচ্ছে, তখন পাত্রগুলিও বিশাল হতে হবে।
রান্নাঘরে দুটি বড় হল রয়েছে যেখানে ৫০০০ মানুষ একসঙ্গে বসে একসঙ্গে খাবার খেতে পারে। রান্নাঘরের কাজ এখানে কখনো থেমে থাকে না। এখানে দিনরাত কাজ চলে। এখানে শুধু খাবার নয়, প্রসাদে চাও পরিবেশন করা হয়।
বিশেষ বিষয় হলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এখানে বিশেষ চিনি মুক্ত চা তৈরি করা হয়। বিদেশীরাও এখানে আসেন,মন্দিরে বিদেশীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment