প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিং কি বিজেপিতে সামিল হতে যাচ্ছেন? অপমানিত বোধ করার পর ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিং শনিবারে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন আর বলেছেন যে গত ২ মাসে আমাকে ৩ বার দিল্লি ডাকা হয়েছে এবং আমাকে না জানিয়েই বিধায়কদের বৈঠকও ডাকা হয়েছে। যদিও তিনি বিজেপিতে যুক্ত হওয়ার সম্পর্কে করা প্রশ্নগুলোর প্রতি কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি।
*ক্যাপ্টেন বনাম সিন্ধু বিবাদ*
পাঞ্জাব কংগ্রেসে গত কিছু মাস ধরে বেশ ঝগড়া দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যদিও কংগ্রেস শনিবার এই অন্তর্কোন্দল সমাপ্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাক্তন কংগ্রেস অধ্যক্ষ রাহুল গান্ধীর সমর্থনে নভজ্যোত সিং সিন্ধু পাঞ্জাব প্রমুখের পদ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে ও আগামী নির্বাচন ওনার নেতৃত্বে লড়া হবে।
পাঞ্জাব কংগ্রেস প্রভারী হরীশ রাওত যখন 'পাঁচ প্যায়ারে' নিয়ে বিবাদ বাধিঁয়েছিলেন তখন এর আগে উনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিং এর নেতৃত্বেই লড়া হবে এবং এর পরে সিন্ধু চুপিসারে সঙ্গ নিয়েছিলেন। নিজেদের সরকারের বিরুদ্ধেই মোর্চা গঠনকারী সিন্ধুর শক্তি কেবল বাড়ছে এবং এখন পাঞ্জাব কংগ্ৰেস উনার নেতৃত্বেই অগ্ৰসর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। যদিও ক্যাপ্টেন মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর প্রথমবার সিন্ধুকে নিয়ে মুখ খুলেছেন এবং বলেছেন যে সিন্ধুর জন্য উনি ইস্তফা দেননি। এই প্রসঙ্গে উনি সিন্ধুর সাথে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও জেনারেল বাজরার সাথে সম্পর্কের কথা বলেছেন।
*কংগ্রেস কি বিজেপিতে সামিল হবে?*
সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ক্যাপ্টেন বিজেপি নেতাদের সংস্পর্শে রয়েছেন। যদিও একটা সমস্যা তৈরি হয়ে গিয়েছে। বিজেপির বড় পদে থাকার সর্বোচ্চ বয়স ৭৫ বছর। সম্প্রতি কর্নাটকে বি.এস. ইয়েদুরাপ্পাকে হারিয়ে বিজেপি বাসবরাজ বোম্নইকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়ে দিয়েছেন। ওদিকে, ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে সবাই দেখেছিল যে লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলী মনোহর যোশীর মতো দিগ্গজ নেতারা বয়স বেশি হওয়ার কারণে নির্বাচনে লড়েননি। এছাড়া আনন্দীবেন পাটিল, সুমিত্রা মহাজনের মত নেতা এতে রয়েছেন।
*পাঞ্জাব জেতানোর ক্ষমতা রাখেন ক্যাপ্টেন*
রাজনীতির অলিগলিতে চর্চা হচ্ছে যে ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিং যদি নিজের চেষ্টায় ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে জেতাতে পারেন তাহলে তার বিজেপিকেও জেতানোর ক্ষমতা আছে। এই পরিস্থিতিতে পার্টি ওনাকে বিজেপিতেও সামিল করতে পারে। যাইহোক সরকার হওয়ার পরের কথা হলো উনি পদ পান কিনা।
অন্যদিকে পাঞ্জাবের পূর্ব মন্ত্রী মাষ্টার মোহনলাল, ক্যাপ্টেনের ইস্তফা দেওয়ার পরে জমিয়ে উনার প্রশংসা করেছেন।
No comments:
Post a Comment