প্রেসকার্ড নিউস ডেস্ক :-ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গর্ভাবস্থায় প্যারাসিটামল গ্রহণ এড়িয়ে চলুন। এটি অনাগত শিশুর উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। ৯১ জন বিজ্ঞানীর একটি দল তাদের গবেষণায় গর্ভবতী মহিলাদের সতর্ক করেছেন, কারণ এটি শিশুর বিকাশকে প্রভাবিত করে । এবং তাদের চিন্তা করার ক্ষমতা ও আইকিউ কমে যায়।
গবেষণায় আরও জানা গেছে যে, অটিজম, হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার, মেয়েদের মধ্যে ধীর ভাষা শেখা এবং এই ধরনের মায়েদের শিশুদের আইকিউ লেভেলের মধ্যে একটা সম্পর্ক রয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল প্যারাসিটামল এবং গর্ভাবস্থা সম্পর্কিত গবেষণা পর্যালোচনা করে, এটা সামনে এসেছিল যে গর্ভবতী মহিলাদের কেবলমাত্র ডাক্তারের পরামর্শে ব্যথানাশক প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত, অন্যথায় অনাগত শিশু নানা ভাবে প্রভাবিত হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ওষুধের প্রভাব পরীক্ষা করার দুটি উপায়:-
নেচার রিভিউস এন্ডোক্রিনোলজি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, প্যারাসিটামল মস্তিষ্ক, প্রজনন এবং মূত্রনালীর সাথে সম্পর্কিত রোগের সঙ্গে যুক্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটি বোঝার জন্য, গবেষকদের দল ১৯৯৫ এবং ২০২০ সালে প্যারাসিটামল এবং গর্ভাবস্থা সম্পর্কিত গবেষণা বিশ্লেষণ করেছিলেন।
কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডা. ডেভিড ক্রিস্টেনসেন, যিনি গবেষণাটি করেছিলেন, তিনি গর্ভাবস্থায় প্যারাসিটামলের প্রভাব দুটি উপায়ে পরীক্ষা করেছিলেন।
প্রথমত, গর্ভবতী পশুর উপর এবং দ্বিতীয়টি গর্ভবতী মহিলাদের উপর।
ফলাফল বিরক্তিকর একথা গবেষকরা নিজেরা বলছেন, অকালে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়া, উর্বরতা কমে যাওয়ার মতো ঘটনা এই ধরনের মায়েদের বাচ্চাদের মধ্যে দেখা গেছে।
একই সময়ে, যখন এর প্রভাব পশুদের উপর দেখা গেল, তখন জানা গেল যে, মহিলা পশুর ডিমের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে এবং পুন্যরূৎপাদন করার ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।
জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে প্যারাসিটামলের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার বিরক্তিকর। এটি শিশুদের চিন্তা ও শেখার ক্ষমতা এবং তাদের আচরণকে প্রভাবিত করছে। শুধু তাই নয়, এই ধরনের ব্যথানাশক এবং টেস্টিকুলার ক্যান্সারের মধ্যে একটি সংযোগও পাওয়া গেছে।
তবে ব্রিটিশ স্বাস্থ্য সংস্থা এনএইচএস এর সাথে একমত নয়। এনএইচএস বলছে যে প্যারাসিটামল গর্ভাবস্থার জন্য একটি নিরাপদ ওষুধ। যে মহিলারা মা হতে চলেছেন, তাদের জন্য এই ব্যথানাশকটিই প্রথম পছন্দ। যুক্তরাজ্যের প্রায় ৫০ শতাংশ গর্ভবতী মহিলা গর্ভাবস্থায় প্যারাসিটামল ব্যবহার করেন। একই ভাবে আমেরিকায় এই সংখ্যা ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত।
No comments:
Post a Comment