প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: মায়ের আগমণের সময় হয়ে এল, অথচ বর্ষাকাল যেন যাই যাই করেও যাচ্ছে না। উত্তরে তেমন বৃষ্টি না হলেও দক্ষিণবঙ্গের মানুষের জল ভোগান্তিতে নাজেহাল দশা। যদিও বৃষ্টি ও বর্ষাকাল অনেকেই ভালোবাসেন, তবে এই প্রিয় ঋতুতেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় অনেকটাই। তাই স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া খুবই জরুরী হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যারা সুগারের রোগী তাদের জন্য এই বর্ষাকাল ডেকে আনতে পারে অনেক রকম সমস্যা। অতএব এই সময় সুগারের রোগীদের চাই বিশেষ যত্ন। কী করবেন, আর কী নয়, দেখে নেওয়া যাক একনজরে-
ভেজা পা শরীরে নানান রকম সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারদর্শী। তাই এই সময় সুগারের রোগীদের সবসময় খেয়াল রাখা উচিৎ, তাদের পা যেন না ভেজে। এছাড়াও পা সবসময় পরিষ্কার রাখলে, নার্ভের সমস্যা থেকেও দূরে থাকা যায়। পায়ের পাশাপাশি হাত এবং নখের যত্ন নেওয়া উচিৎ। আর অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, যেন হাত বা পায়ের নখ বড় না থাকে।
যতটা সম্ভব বাইরের খাবার খাওয়া এই সময় এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এই সময়েই জল দূষণের মতো ঘটনা বেশি ঘটে, যাতে করে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ডায়রিয়ার মতন পেটের সমস্যা দেখা দেয় এই দূষিত জল পান করা বা দূষিত জল দিয়ে তৈরি কোনও রান্না খাওয়ার ফলে। অতএব সুগারের রোগীদের পাশাপাশি অন্যান্যদের উচিৎ এই সময় বাইরের খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা।
জল পিপাসা এই সময় খুব কমই পায়। কিন্তু জল কম পান করলে দেখা দিতে পারে জলশূন্যতা। তাই পিপাসা না পেলেও কিছুক্ষণ পরপর অবশ্যই জল পান করা উচিৎ। জল ছাড়া আপনি অন্য পানীয়ও বেছে নিতে পারেন, তবে অবশ্যই মিষ্টি নেই, এমন পানীয় বেছে নিন। এক্ষেত্রে ডাবের জল ভালো বিকল্প হতে পারে। কিন্তু খুব বেশি পরিমাণে পান করবেন না।
বর্ষাকালে কখনই কাঁচা সবজি খাওয়া উচিৎ নয়, বিশেষ করে সুগারের রোগীদের তো কাঁচা সবজি খাওয়া থেকে একেবারেই দূরে থাকা উচিৎ। এই সময়ে কাঁচা সবজিতে মাইক্রোবস থাকে (এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া), তাই সবজি ভালো করে ধুয়ে এবং পুরো সেদ্ধ করে খাওয়া উচিৎ।
No comments:
Post a Comment