প্রেসকার্ড নিউস ডেস্ক :-যদি আপনি পেটে ভারী ভাব অনুভব করেন, তার সাথে ব্যথা, অ্যাসিড হওয়া,বমি বমি ভাব বা খাবার হজমে অসুবিধা হয়, তাহলে এগুলো লক্ষণ কে একেবারেই উপেক্ষা করবেন না, কারণ এটি ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ হতে পারে।
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা আরও সাধারণ হয়ে উঠছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রোগে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীর কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। কিছু রোগী পেটের ডান দিকে ব্যথা অনুভব করে। এটি ছাড়াও অন্যান্য উপসর্গ যেমন ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, খিদে কমে যাওয়াও দেখা যায়। জন্ডিস, রক্তযুক্ত বমি ইত্যাদিও হতে পারে।
অ্যাপোলো হাসপাতালের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি নিবন্ধ অনুসারে, যদি প্রাথমিক পর্যায়েই এই রোগটি ধরা পড়ে, তাহলে এর চিকিৎসা সহজ। কিন্তু যদি প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটি শনাক্ত না করা যায়, তাহলে লিভার সোরিয়াসিস এবং লিভার ফেইলিউরের মতো মারাত্মক সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
প্রতিকার :-
ওজন বেশি হলে তবে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।
প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা ব্যায়াম করা দরকার।
চর্বিযুক্ত এবং তৈলাক্ত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
সুগারের রোগী হলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ এবং তারসাথে উচ্চ রক্তচাপ,
নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে।
বিশেষ করে লিভারের এনজাইম, কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগার পরীক্ষা করুন।
আয়ুর্বেদ অনুসারে:-
যদি প্রায়শই পেটে ভারী ভাব থাকে, সঙ্গে ব্যথা, মুখে টক টক ভাব, বমি বমি ভাব বা খাবার হজমে অসুবিধা অনুভব হলে তবে এটিকে একেবারেই উপেক্ষা না করাই ভালো। কারণ এটি ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ হতে পারে।
ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি পেতে অনেক যোগাসনও কার্যকর বলে বিবেচিত হয়েছে।
বাবা রামদেবের মতে, মান্দুকাসন এবং কপালভাটি তাদের মধ্যে অন্যতম।
হজম সংক্রান্ত সমস্যাগুলি মান্দুকাসনের মাধ্যমে দূর হয়। এটি লিভারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না।
এই ধরণের ঘরোয়া প্রতিকারগুলিও কার্যকর:
লাউয়ের রস ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি পেতে কার্যকর বলে জানা গেছে।
সর্বকল্প কোয়াথ খেলে জন্ডিস, ফুসকুড়ি, পেটে ব্যথা, খাবারের বদহজম, খিদে কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দূর করা যায়। এক গ্লাস জলে এক চামচ কোয়াথ সেদ্ধ করে, ভালো করে ফুটিয়ে জল যখন ১০০গ্রাম হয়ে গেলে, জলটি ছেঁকে খালি পেটে পান করুন।
চিনি কম খান।
ফ্যাটি লিভার কমাতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন লেবু এবং কমলা খান।
No comments:
Post a Comment