রাজনৈতিক সংকটে কংগ্রেস! ক্যাপ্টেনের পদত্যাগের প্রভাব‌ কী এবার ছত্রিশগড়ে - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 20 September 2021

রাজনৈতিক সংকটে কংগ্রেস! ক্যাপ্টেনের পদত্যাগের প্রভাব‌ কী এবার ছত্রিশগড়ে


প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাবের পর এখন ছত্তিশগড়েও রাজনৈতিক দোলাচল তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিএস সিং দেও দিল্লী পৌঁছে গিয়েছেন। এখানে তিনি কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। এই সফর সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে টিএস সিং দেব বলেন 'দিল্লী আসার কর্মসূচি আগে থেকেই ছিল এবং পারিবারিক কারণে আমি এসেছি।' যদিও এটাই মনে করা হচ্ছে, এখানে তিনি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন।


আসলে, ২০১৮ সালে কংগ্রেস ছত্তিশগড়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করেছিল, যার পরে মুখ্যমন্ত্রীর দৌঁড়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছিল ভূপেশ বাঘেল, টিএস সিং দেও এবং তাম্রধ্বাজ সাহুর নাম। তবে হাইকমান্ড সেই সময় ভূপেশ বাঘেলকে সিএম বানিয়েছিল। টিএস সিং দেওকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল। সেই সময় বলা হচ্ছিল যে, দল এই দুই নেতাকে ২.৫ বছর করে করে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে সিং দেও এই কথা মানতে অস্বীকার করেছে। একইসঙ্গে বাঘেল বলেন, দল চাইলে তিনি পদত্যাগ করতে প্রস্তুত।


প্রসঙ্গত, পাঞ্জাবে দ্রুত পরিবর্তনশীল ঘটনাগুলি কংগ্রেসের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ দলের অন্দরের সূত্রের আশঙ্কা, অমরিন্দর সিংকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে যেভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে, তা অন্য রাজ্যগুলোতে অসন্তোষের ভিত্তি হয়ে উঠবে। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, জিতিন প্রসাদ, সুস্মিতা দেব এবং প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী সহ দলের বেশ কয়েকজন নেতানেত্রী বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই কংগ্রেসে অসন্তোষের সুর জোরালো হচ্ছে।


কংগ্রেস নেতারা এখন উপদলে বিভক্ত হয়ে রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ে পাঞ্জাবের ঘটনাক্রমের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে "ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ" নীতি অবলম্বন করছেন। পাঞ্জাব ছাড়া কেবল এই দুটি রাজ্যেই দলটি নিজেদের সামর্থ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। দলের মধ্যে অস্বস্তির প্রতিফলন দেখে রবিবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট আশা প্রকাশ করেন যে, অমরিন্দর সিং "কংগ্রেস পার্টির ক্ষতি করে এমন কোনও পদক্ষেপ নেবেন না এবং জোর দিয়ে বলেন যে প্রত্যেক কংগ্রেসীকে দেশের স্বার্থে ভাবতে হবে।"


কংগ্রেস গত বছর রাজস্থানে শচীন পাইলটের বিদ্রোহের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল এবং গেহলট নেতৃত্বাধীন নিজ সরকারকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছিল, যদিও রাজ্য ইউনিটে এখনও অসন্তোষ অব্যাহত। একজন বরিষ্ঠ নেতা বলেন, “পাঞ্জাবের ঘটনাক্রম অন্যত্র প্রভাব ফেলতে পারে। দলের মধ্যে মতভেদ বাড়তে পারে এবং এতে করে দল আরও দুর্বল হবে।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad