বিজেপির উত্তরের সাংগঠনিক বৈঠকে গড়হাজির ৫ বিধায়ক, তুঙ্গে দলবদলের জল্পনা

নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে অনুপস্থিত ৫ বিধায়ক। তুঙ্গে দলবদলের জল্পনা। কেউ দল ছেড়ে গেলেও কোনও প্রভাব পড়বে না, দাবী বিজেপি নেতা তথা দার্জিলিংয়ের বিধায়ক নিরোজ জিম্বা। 

উত্তরবঙ্গের সমস্ত বিজেপির বিধায়কদের নিয়ে বুধবার শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মারওয়ারী প্যালেসে এক সাংগঠনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত সকল বিধায়ককে স্মারক দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়। জানা গিয়েছে, ২৯ জন বিধায়কের মধ্যে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ২৪ জন বিধায়ক। বাকি ৫ জন ছিলেন গড়হাজির। তাঁরা হলেন,মালদার বিধায়ক গোপাল চন্দ্র সাহা, কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওরাওঁ, বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী, গঙ্গারামপুরের বিধায়ক সতেন্দ্রনাথ রায় ও হাবিবপুরের জুয়েল মুর্মু।

জানা গিয়েছে এদের মধ্যে গঙ্গারামপুর ও বালুরঘাটের বিধায়ক তাদের অনুপস্থিতির কথা আগে থেকেই দলকে জানিয়েছিলেন এবং বাকিরা না জানিয়েই এদিন অনুপস্থিত ছিলেন। এদিকে তিন জন বিধায়ক দলকে না জানিয়েই অনুপস্থিত থাকায় তাদের দল ত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।  

 বিধায়কদের অনুপস্থিতির ব্যাপারে অবশ্য বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা ও মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা জানান, তারা আসেননি তার মানে এই না যে তারা অন্য দলে চলে যাবে। তারা হয়তো ব্যস্ত আছেন যেই কারণেই এই অনুপস্থিতি। তিনি আরও জানান, সাংগঠনিকভাবে দল কিভাবে কাজ করবে সে বিষয়েই আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে। 

বৈঠক শেষে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, 'পৃথক রাজ্যের দাবী এখানকার মানুষদের। দীর্ঘদিনের বঞ্চনা, উপেক্ষা থেকেই এই দাবী উঠেছে। এতে আমার কোনও আপত্তি নেই। প্রয়োজনে সাধারণ মানুষদের দাবী নিয়ে বলতে হলে বলবো।' বিধায়কদের অনুপস্থিতির বিষয়ে বলতেগিয়ে তিনি বলেন, 'উত্তরবঙ্গে একজন বিধায়কও দল ছাড়বেন না। যে ৫ বিধায়ক আজ আসেননি, তারা ব্যক্তিগত, অসুস্থতাজনিত কারণে আসেননি। আর আজ শক্তি প্রদর্শনের বৈঠক ছিল না। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ২৪ জন বিধায়ক এসছেন। আগামীদিনে উত্তরের বঞ্চনা নিয়ে আন্দোলবে নামবে বিজেপি।'

এই বিষয়ে আবার দার্জিলিংয়ের বিধায়ক নিরোজ জিম্বা বলেন, 'কেও যদি দল ছেড়ে যায় তাতে দলের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না।