হচ্ছেটা কি বাংলায় : ব্যস্ত রাস্তায় বন্দুক উঁচিয়ে তান্ডব ডাকাতদলের , গুলিতে জখম ১ - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 12 July 2021

হচ্ছেটা কি বাংলায় : ব্যস্ত রাস্তায় বন্দুক উঁচিয়ে তান্ডব ডাকাতদলের , গুলিতে জখম ১

 


প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : সাতসকালে সিউড়িতে শ্যুটআউট!  শহরের জনবহুল রাস্তায় বন্দুক উঁচিয়ে দৌড়াদৌড়ি ডাকাতদলের। পেছনে ধাওয়া মানুষের।  ধরা পড়া থেকে বাঁচতে পরপর গুলি ডাকাতদলের। গুলিতে জখম এক টোটো চালক। ঘড়িতে তখন বড়জোর সকাল ৯টা। পাঁচ- ছজনের ডাকাতদল সদর শহরে লোকজনে সমাগম প্রায় তিনশো মিটার রাস্তা দাপালো এভাবেই। সোমবার দিনের আলো ফুটতেই শহরের রাস্তায় এমন দুষ্কৃতি তান্ডবে স্তম্ভিত শহরবাসী। 


কি ঘটেছে? 

ঘটনাক্রমে স্পষ্ট হয়েছে, সিউড়ির টিকাপাড়ায় থাকা একটি বহুজাতিক ঋনদানকারী (মুথুট ফাইনান্স) সংস্থা লুটই ছিল দুষ্কৃতি দলের উদ্দেশ্য। প্রথমে সংস্থার নিরাপত্তারক্ষীদের কানে বন্দুক ঠেকায় তারা। শাটার খুলে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা নির্দিষ্ট কৌশলে সাটার খোলায় তৎক্ষনাৎ বেজে ওঠে সংস্থার বিপদ সংকেত (সাইরেন)। বেগতিক বুঝে চম্পট দেয় দুষ্কৃতিদল। চিৎকার শুরু করে নিরাপত্তারক্ষীরা। চিৎকার শুনে এলাকায় থাকা মানুষজন ধাওয়া করতে শুরু করেন। দুষ্কৃতিদলটি মোটর বাইকে এসেছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ঋনদানকারী সংস্থার নিরাপত্তারক্ষী মিঠুন মন্ডল জানিয়েছেন, ''পাঁচ-ছজনের দল ঢুকেছিল অফিসে। সকলের হাতেই ছিল বন্দুক। আমাদের কানে ঠেকিয়েছিল। সেই মুহুর্তে অফিসের ব্যবস্থা মত সাইরেন বেজে উঠলে সবাই পালিয়ে যায়। ওরা হিন্দিতে কথা বলছিল।'' 


মানুষের ধাওয়া খেয়ে দুষ্কৃতী দলের মধ্যে দুজন বাইক নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বাকি তিনজন ছুটে মসজিদ মোড়ের দিকে পালাতে থাকে। সেই  সময় তারা একদফা গুলি ছোঁড়ে। মানুষও তাড়া করতে থাকে। এরপর আরো একশো মিটার দূরে সিউড়ি বোবা স্কুলের কাছে তিন দুষ্কৃতিকে প্রায় ধরে ফেলে মানুষজন। তখন তারা ফের গুলি ছোঁড়ে।গুলিতে মোবারক খান নামে এক টোটো চালক গুলিবিদ্ধ হন। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। থমকে যান ধাওয়াকারীরা। এরপর দুষ্কৃতীরা পথ চলতি মানুষের বাইক ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে একের পর এক। কিন্তু ব্যর্থ হন।


 অবশেষে সিউড়ির আর টি স্কুল মোড়ে তারা একটি বাইক ছিনতাই করতে সক্ষম হন। কিন্তু জনবহুল এলাকা হওয়ায় পালাতে গিয়ে তাদের বেগ পেতে হয়। তখন দুষ্কৃতিরা আরও একদফা গুলি ছোঁড়ে। গুলি ছুড়তে ছুড়তে তারা পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী অমল দাস, মুস্তাক আহমেদরা বলেন, ''চোখের সামনে এভাবে বন্দুক উঁচিয়ে গুলি ছোঁড়া জীবনে কোনদিন দেখিনি। রীতিমতো আতঙ্কিত আমরা। তিনজন বাইকে চেপেই গুলি চালিয়েছে। প্রত্যেকের মুখেই মাস্ক ছিল।'' রাস্তায় মিলেছে রক্তের দাগ, পাওয়া গেছে বুলেট। ঘটনা বড়সর প্রশ্নের মুখে ফেলেছে নাগরিক নিরাপত্তা। সাত সকালে শহরের বুকে এমন শ্যুটআউটের সাক্ষী সদর শহর আগে কোনোদিন হয়েছিল কি না বলতে পারছেন না কেউই। শহরজুড়ে ঘটনা ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যপক আতঙ্কই। দুষ্কৃতীদের এখনও কোন হদিশ মেলে নি। শহরের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সর প্রশ্ন তুলে দেওয়া এই ঘটনার পর পুলিস মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে দুষ্কৃতীদলের হদিশ পেতে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad