প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : হাসপাতালের নার্স এবং নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে একজন রোগীর মৃত্যু নিয়ে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা এবং অনেক অ্যাম্বুলেন্স চালকদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে থাকা ডাক্তারদের অবমাননার অভিযোগ তোলা হয়েছে। মৃতদেহ আটকে রেখে প্রতিবাদ অব্যাহত থাকে। মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতির সামাল দেন।
নিহতের নাম ৩১ বছর বয়সী বিশ্বজিৎ দাস। তিনি মাথাভাঙ্গা ১ ব্লকের বাইসগুড়ি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। ওই যুবক বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। ২৫ জুলাই তাকে মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অন্যান্য রোগীরা জানান, মঙ্গলবার সকালে বিশ্বজিৎ স্যালাইন খুলে বেরিয়ে এসেছিলেন। অভিযোগ করা হয় যে ওই সময় তিনি পড়ে গিয়ে মারা যান। একজন রোগী কীভাবে নার্স এবং নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে ওয়ার্ড ছেড়ে চলে গেলেন তা নিয়ে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ দেবদীপ ঘোষ বলেছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে হাসপাতালের সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা এজেন্সিকে তলব করা হয়েছে। সোমবার রাতে রোগী দুবার ওয়ার্ড ছাড়ার চেষ্টাও করেন। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা তাকে আবার ওয়ার্ডে নিয়ে যায়। বিষয়টি রোগীর স্বজনদেরও জানানো হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি মাথাভাঙ্গা মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারের প্রধান শঙ্ক বসু জানিয়েছেন, তিনি ঘটনার দায় থেকে বাঁচতে পারেন না। মাথাভাঙ্গা হাসপাতালের নিরাপত্তা ইনচার্জের দায়িত্ব নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি তারা নিরাপত্তারক্ষীদের তদারকির কথাও শোনেন না। জানা গেছে, শঙ্কু বাবুর সঙ্গে তারা দুর্ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ। তিনি আরও বলেছিলেন, প্রয়োজনবোধে মাথাভাঙ্গা হাসপাতালের সুরক্ষার দায় থেকে তিনি অব্যাহতি নিয়ে নেবেন।

No comments:
Post a Comment