নিজস্ব প্রতিনিধি, বাংলাদেশ: বাংলাদেশে যেন থামছেই না মহামারী করোনা ভাইরাসের মৃত্যু মিছিল। যতই দিন গড়াচ্ছে, ততই ভয়াবহ হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। করোনার ধাক্কায় বেসামাল গোটা বাংলাদেশ। সংক্রমণের গতি থামার লক্ষণই নেই, উল্টো প্রতিদিন রেকর্ড হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ।
বাংলাদেশে করোনা ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় কয়েকটি হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত অক্সিজেন, যা নিয়ে ত্রাহি ত্রাহি রব। প্রতিদিন যেভাবে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল, তাতে শুধু হাসপাতাল নয়, করোনার কারণে চাপ বেড়েছে শ্মশান ও কবরস্থানেও। কবর খুঁড়ে কুল পাচ্ছেন না কবরস্থানের কর্মীরা। চাপ সামলাতে তাই চলছে মেশিন দিয়ে কবর খোঁড়ার কাজ।
মহামারী করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর মিছিলে বৃহস্পতিবার যোগ হয়েছে আরও ১৯৯ জনের। এর আগের দিন বুধবার ২০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ হাজার ৭৯২ জনে। শুধু বৃহস্পতিবারই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১১ হাজার ৬৫১ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৯ লাখ ৮৯ হাজার ২১৯ জনে।
করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ধরনের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনতে চলমান লকডাউনের পরিবর্তে কারফিউ বা ১৪৪ ধারার মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল এনসিডিসি পরিচালক ও অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।
বাংলাদেশে কঠোর লকডাউন চলছে কিন্তু মানুষের চলাফেরা বা জমায়েত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে মানুষ কারফিউ বা ১৪৪ ধারার মতো কর্মসূচিগুলো ভয় পায় এবং প্রতিপালনের চেষ্টা করে। এই পরিস্থিতিতে এ ধরনের কর্মসূচি দিলে করোনা নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট সহায়ক হবে।
তবে বাংলাদেশে আর কত প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পর তৃপ্ত হবে মহামারী করোনাভাইরাসটি। এখন সেই আশঙ্কাতেই দিন কাটাচ্ছেন বাংলাদেশের মানুষ।
No comments:
Post a Comment