ফের উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকা। শনিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপোরের আরামপোরায় জম্মু-কাশ্মীর এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের একটি চেকপোস্টে হামলা চালাল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঘটনায় দুই পুলিশকর্মী এবং দু’জন সাধারণ মানুষ মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আহত আরও দু’জন নিরাপত্তা আধিকারিক।
সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এদিন সোপোরের আরামপোরার একটি বাজারের পাশে নাকা চেকিং করছিল পুলিশ এবং সিআরপিএফের যৌথ বাহিনী। সেসময়ই আচমকা তাঁদের উদ্দেশে গ্রেনেড ছোঁড়ে লস্কর জঙ্গিরা। তারপরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তবে নিরাপত্তাবাহিনীর সন্দেহ এখনও ওই এলাকাতেই লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা। ইতিমধ্যে তাঁদের খোঁজে গোটা এলাকায় চিরুণি তল্লাশি চলছে। মোতায়েন করা হয়েছে আরও বেশি সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী। কাশ্মীরের আইজি বিজয় কুমার সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানান, এই হামলার পিছনে লস্কর জঙ্গিদেরই হাত রয়েছে। এই ঘটনায় ওই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যও ছড়িয়েছে। সূত্রের খবর, সোপোরের শালিমার কলোনির বাসিন্দা মঞ্জুর আহমেদ সালাহ এবং মহারাজপোরার বাসিন্দা বশির আহমেদ মারা গিয়েছেন। এছাড়া সওকত আহমেদ এবং ওয়াসিম আহমেদ নামে দুই আধিকারিক শহিদ হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন মুকেশ কুমার এবং দানিশ নামে আরও দুই নিরাপত্তা আধিকারিক।
সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে বেশ বড়সড় সাফল্য পেয়েছিল ভারত। গতমাসেই কেন্দ্রশাসিত প্রদেশটির অনন্তনাগ জেলার কোকেরনাগ এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সন্ত্রাসবাদীদের। সেই গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয়েছিল কুখ্যাত তিন লস্কর জঙ্গি। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। প্রাথমিক সন্দেহে অনুমান, জঙ্গিদের বেশ বড়সড় নাশকতার ছক ছিল। কিন্তু নিরাপত্তাবাহিনীর তৎপরতায় সেই ছক ভেস্তে যায়। এদিনের হামলা ওই ঘটনার প্রতিশোধও হতে পারে, এমনই ধারনা করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment