রাজ্যজুড়ে করাল থাবা করোনার। আক্রান্ত ব্যক্তির লাশ পড়ছে মুহুর্মুহু। এই অবস্থায় চিকিৎসার চেয়েও বড় সমস্যা করোনা রোগীদের মৃতদেহ দাহ। সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। কোথাও করোনায় মৃত্যু হলে এলাকার লোকজন দাহ করতে বাধা দিচ্ছেন, কোথাও শ্মশানের কর্মীরাই মৃতদেহ দাহ করতে ভয় পাচ্ছেন, আবার কোথাও বা শ্মশানঘাট পর্যন্ত নিয়ে যাওয়াই সম্ভব হচ্ছে না মৃতদেহকে। সাধারণ মানুষ যাতে আতঙ্কিত না হন তার জন্য অধিকাংশ জায়গাতেই কোভিডে মৃত রোগীর দেহ দাহ করার জন্যে বেছে নেওয়া হচ্ছে রাতের অন্ধকার। কিন্তু গোটা রাজ্যের এই চেনা ছবিতে রায়গঞ্জে অন্য চিত্র উঠে এসেছে।
রায়গঞ্জের বন্দর শ্মশানঘাট 'মৃত্যুঞ্জয়'-এ শববাহী গাড়িতে রোজই গভীর রাতে আসছে করোনা রোগীদের মৃতদেহ। প্রতিরাতেই ওইসব দেহ দাহ করে চলেছেন পুরকর্মীরা। রায়গঞ্জের বন্দর শ্মশানঘাটে শ্মশান-কর্মীদের মনবল বাড়াতে রাত জাগছেন রায়গঞ্জ পুরসভায় চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস-সহ অন্যান্য কাউন্সিলররা। তাদের মনবল যাতে ভেঙে না পড়ে বা তারা যাতে ভয় পেয়ে না যান তার জন্য প্রায় প্রতিরাতেই ওইসব কর্মীদের পাশে থাকছেন সন্দীপ বিশ্বাস ও অন্যান্য কাউন্সিলররা।
ঘটনায় জানা গেছে, সন্দীপবাবু নিজেও উচ্চ রক্তচাপ-সহ অন্যান্য রোগে ভুগছেন। কিন্তু তাঁর উপস্থিতি ভরসা জোগাচ্ছে শ্মশান কর্মীদের। চেয়ারম্যানকে পাশে পেয়ে প্রতি রাতেই তাঁরা শবদেহ দাহ করে চলেছেন নির্বিকারভাবে। তাঁদের বক্তব্য, রাজা যখন সেনাপতির ভূমিকায় তখন ভয় কিসের। এই লড়াই তো দেশের জন্য। সন্দীপবাবুর প্রশংসা করছেন মৃতের পরিজনরাও।
এনিয়ে সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, বহুদিন থেকেই সমাজের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। আমাদের নেত্রী যেভাবে মানুষের পাশে থাকেন তা দেখেও উৎসাহ পেয়েছি।
No comments:
Post a Comment