অ্যান্টিবডি ককটেল নিয়ে করোনামুক্ত হয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার সেই অ্যান্টিবডি ককটেলই দেওয়া হল বাংলার ৮ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে। জানা গেছে, আট জনের মধ্যে সাতজনের অবস্থাই স্থিতিশীল। তবে একজন গুরুতর অসুস্থ।
দিন কয়েক আগে CMRI হাসপাতালে ৪ জনকে, অ্যাপোল হাসপাতালে ৩ জনকে এবং বেলভিউ হাসপাতালে এক জনকে এই অ্যান্টিবডি ককটেল দেওয়া হয়। সাতজনের শরীরে কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। তবে একজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ ব্যক্তিকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। কিন্তু কেন এমন হল? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সমস্ত রোগীদের দেওয়া যাবে না এই ককটেল। এই ককটেল ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্ত রয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক পরিস্থিতিতেই এই অ্যান্টিবডি ককটেল ব্যবহার করা যায়।
শর্তগুলি হলো, ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা, ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তি বা ক্যানসার থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তি, ইমিউনিটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন কোনও রোগে আক্রান্ত রোগীর উপর অ্যান্টিবডি ককটেল ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া ৬৫ উর্ধ্ব এবং হার্টের সমস্যা, ডায়াবিটিস থাকলে ৫৫ উর্ধ্বদেরও ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহার করা যাবে।
ভারতে এক ডোজ অ্যান্টিবডি ককটেলের দাম কমবেশি ৬০ হাজার টাকা। CMRI হাসপাতালের পালমনোলজিস্ট ডাক্তার রাজা ধর জানান, গাইড লাইন অনুযায়ী ১০ দিনের মধ্যে অ্যান্টিবডি ককটেল ব্যবহার করা উচিত। তবে ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে ব্যবহার করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়। এছাড়া একটানা তিনদিন জ্বর না থাকলে বা মাইল্ড থেকে মডারেট উপসর্গ থাকলেও এটি ব্যবহার করা যায়। অ্যাপোলো গ্লেনেগ্যালসের ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নারায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "অ্যান্টিবডি ককটেল নয়া অস্ত্র। তবে কখন ব্যবহার করব, তা মাথায় রাখা প্রয়োজন।" অ্যাপোলো গ্লেনেগ্যালস পালমনোলজিস্ট ডাক্তার দেবরাজ যশ বলেন, 'সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যাবে এই নয়া অস্ত্র কতটা কার্যকর।'
No comments:
Post a Comment