অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের পুনর্নিয়োগে বাধ্যতামূলক CVC ছাড়পত্র। অবসরপ্রাপ্ত অল ইন্ডিয়া সার্ভিস ক্যাডার অফিসারদের পুনর্নিয়োগের জন্য জারি নয়া নির্দেশিকা। নয়া নির্দেশিকা জারি করল সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন (CVC)। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের পুনর্নিয়োগ বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে এবার থেকে বাধ্যতামূলক ভিজিল্যান্স কমিশনের ছাড়পত্র(CVC) বা এনওসি (NOC)। কোনও আমলা, কবে অবসর গ্রহণ করবেন বা করেছেন, কোন পদে, কবে থেকে তাঁকে নিয়োগ করা হবে, সেই পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য ভিজিল্যান্স কমিশনের কাছে পাঠাতে হবে। সন্তোষজনক তথ্য না পেলে ছাড়পত্র নাও দিতে পারে CVC।
অবসরপ্রাপ্ত অল ইন্ডিয়া সার্ভিস ক্যাডার অফিসারদের পুনর্নিয়োগের জন্য জারি হলো নয়া নির্দেশিকা। নয়া নির্দেশিকা জারি করল সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন (CVC)। সমস্ত রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, অবসর গ্রহণের পর অল ইন্ডিয়া সার্ভিস ক্যাডার অফিসারকে কোনও রাজ্য সরকার পুনর্নিয়োগ বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করতে চাইলে, তার আগে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনকে বিষয়টি জানাতে হবে।
নির্দেশিকায় উল্লেখিত, কোনও আমলা, কবে অবসর গ্রহণ করবেন বা করেছেন, কোন পদে, কবে থেকে তাঁকে নিয়োগ করা হবে, সেই পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য ভিজিল্যান্স কমিশনের কাছে পাঠাতে হবে। বিষয়টি জানার পর উক্ত আমলা সম্পর্কে খতিয়ে দেখবে CVC। সার্ভিস পিরিয়ডে তিনি কোনও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কিনা, তাঁর সম্পর্কে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখে মতামত জানাবে ভিজিল্যান্স কমিশন। সন্তোষজনক তথ্য না পেলে পুনর্বহালের ছাড়পত্র নাও দিতে পারে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন (CVC)।
এছাড়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, উক্ত আমলা যদি অন্যান্য দফতরে কাজ করে থাকেন, তবে সেখান থেকেও ছাড়পত্র নিতে হবে। সেক্ষেত্রে ভিজিল্যান্স কমিশন একটা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। অর্থাৎ ২১ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরকে ছাড়পত্র পাঠাতে হবে। না হলে ওই নিয়োগে সংশ্লিষ্ট দফতরের সম্মতি রয়েছে বলেই ধরে নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন-ইস্যুকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব তুঙ্গে। চাকরিতে পুনর্বহালের অনুমতিতে সীলমোহর দিয়েও রাজ্যের মুখ্যসচিবকে কেন্দ্রের দিল্লিতে তলব নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে বর্ধিত মেয়াদে নয়, গত ৩১ মে নিৰ্দিষ্ট সময়েই রাজ্যের মুখ্যসচিবের পদ থেকে অবসর নেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। অবসর নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিজের মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন প্রশ্ন, এই ঘটনার পরপরই সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনে আজকের নির্দেশিকা। পিছনে কি কোনও ভাবে আলাপন ইস্যু কাজ করেছে? প্রশ্ন উঠছে সর্বত্রই।
অবসর গ্রহণের পরই ফের কেন্দ্রের রোষানলে পড়েন আলাপন। বাংলার প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে কার্যত মরিয়া কেন্দ্র সরকার। প্রাক্তন মুখ্যসচিবকে কেন্দ্র শোকজ চিঠি ধরিয়ে দেয়। কলাইকুন্ডে কেন প্রধানমন্ত্রী'র বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না আলাপন? চিঠির জবাব দেন বর্তমানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন। সূত্রের খবর, আলাপনের জবাবি চিঠি খুঁটিয়ে দেখছে মোদী সরকার। আলাপনের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ কী করা হবে, তা শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাবে কেন্দ্রীয় সরকার।
একই সঙ্গে আজ আরও একটি নির্দেশিকা দিয়েছে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন। অবসর গ্রহণের পর সার্ভিস ক্যাডার অফিসারদের কুলিং অফ ডিউটির সময়সীমা ২ বছর থেকে কমিয়ে এক বছর করা হয়েছে। অর্থাৎ এই এক বছরের মধ্যে কোনও বেসরকারি সংস্থায় কাজে যোগ দিতে পারবেন না অবসরপ্রাপ্ত আমলারা। আগে অনেক ক্ষেত্রেই এই নিয়ম মানা হত না। তবে এবার অনেকটাই কঠোর সেন্ট্রাল ভিজিল্য়ান্স কমিশন (CVC)।
No comments:
Post a Comment