প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : আপনি যদি স্থূলতায় সমস্যায় পড়ে থাকেন তবে এই খবরটি আপনার পক্ষে কার্যকর হতে পারে। আমরা আপনার জন্য মৌরি জলের সুবিধা নিয়ে এসেছি। বেশিরভাগ লোক খাবার খাওয়ার পরে মৌরি খেতে পছন্দ করেন, যাতে মুখের গন্ধ দূর হয়। মৌরি শুধু মাউথ ফ্রেশনার হিসাবেই কাজ করে না, এটি খেলে শরীরের অনেক সমস্যাও দূর হয়। গ্রীষ্মের সময় মৌরি জল পান করা শরীরকে শীতল রাখে এবং পেটের সমস্যাও দূর করে।
মৌরিতে কী পাওয়া যায়?
মৌরি একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ, যা প্রায় প্রতিটি রান্নাঘরে উপস্থিত রয়েছে। মৌরিতে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন এবং পটাসিয়ামের মতো উপাদান প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। একই সাথে গ্রীষ্মে অনেকে মৌরির জল পান করেন।
ওজন হ্রাসে কার্যকর হিসাবে পরিচিত :
আয়ুর্বেদ ডাঃ আবরার মুলতানির মতে, মৌরিতে ফাইবারের পরিমাণ খুব বেশি থাকে, যার কারণে ব্যক্তিটি পরিপূর্ণ বোধ করে। মৌরির মধ্যে ক্যালোরিগুলি নগণ্য। এটি ওজন কমাতে সহায়তা করে। এটি শরীরে ফ্যাট জমতে দেয় না, যা স্থূলত্বের ঝুঁকি হ্রাস করে। মৌরির জল পান করে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে আসে। দেহের বিপাক শক্তিশালী হয়। ভাল বিপাক ওজন কমাতে সহায়ক।
এভাবে মৌরি জল প্রস্তুত করুন :
রাতে এক গ্লাস জলে ২ চা চামচ মৌরি এবং সামান্য চিনির মিছরি ভিজিয়ে রাখুন।
সকালে এই জল ছেঁকে নিয়ে পান করুন।
এটির মাধ্যমে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মৌরি জলের অন্যান্য সুবিধা :
ডাঃ আবরার মুলতানি বলেছেন যে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের অভিযোগ রয়েছে তাদের অবশ্যই দিনে একবার মৌরি জল পান করা উচিৎ।
মৌরি চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। যদি মৌরির জল প্রতিদিন পান করা হয় তবে এটি চোখকে সুস্থ রাখে এবং এগুলির মধ্যে কোনও সংক্রমণ নেই।
নিয়মিত মৌরির জল খেলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হয়। যাঁদের সর্বদা বদহজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের অভিযোগ থাকে তাদের উচিৎ মৌরি জল পান করা।
১০ গ্রাম মৌরির রসের সাথে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন দু'বার তিনবার পান করলে কাশিও নিরাময় হয়।

No comments:
Post a Comment