প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : ডায়াবেটিস রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির কারণে ঘটে। এই রোগে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন হরমোনের স্রাব হ্রাস বা বন্ধ হয়ে যায়। এ জন্য ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টি খেতে নিষেধ করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস একটি অসাধ্য রোগ, যা একবার নির্ণয় করা হলে সারাজীবন আপনার সাথে থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের তাদের স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। ডায়াবেটিস বিভিন্ন ধরণের আছে। এর মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিস বেশি বিপজ্জনক। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন হরমোন নিঃসরণ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগীও হন এবং শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তবে অবশ্যই আপনার ডায়েটে বিটা ক্যারোটিনযুক্ত জিনিস অন্তর্ভুক্ত করুন। অনেক গবেষণায় জানা গেছে যে বিটা ক্যারোটিন সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। আসুন, আসুন এটি সম্পর্কে সমস্ত কিছু-
বিটা ক্যারোটিন কি ?
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিটা ক্যারোটিন জৈব যৌগের একটি রূপ। সোজা কথায়, বিটা ক্যারোটিনের কারণে ফল এবং সবজির রঙ হলুদ। সুস্থ থাকার জন্য ডায়েটে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রয়োজনীয়। এর মধ্যে একটি পুষ্টি হ'ল বিটা ক্যারোটিন। সুস্থ থাকার জন্য বিটা ক্যারোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন এ যুক্ত ফল এবং শাকসবজি খেয়ে প্রাপ্ত হয়, যা অনেক রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। বিশেষত এটি ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হার্ট ইত্যাদি রোগের জন্য উপকারী প্রমাণ করে।
গবেষণা কি বলে ?
রিসার্চগেটে প্রকাশিত একটি নিবন্ধ বিটা ক্যারোটিনের উপকারিতা নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেছে। এই গবেষণায় উঠে এসেছে যে বিটা ক্যারোটিন স্থূলতা এবং সুগার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। এটিতে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সুগার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যও রয়েছে, যা জারণ চাপ কমায়। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ডায়াবেটিস এবং স্থূলত্বের কারণও হয়। এর জন্য ডায়াবেটিস রোগীদের চিনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন পুরো শস্য, বাঁধাকপি, কুমড়ো, ব্রোকলি, স্যালাড এবং হলুদ শাকসবজি জাতীয় বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিৎ। গবেষণা অনুসারে প্রতিদিন ৫০ গ্রামের বেশি বিটা ক্যারোটিন খাওয়া উচিৎ নয়।
No comments:
Post a Comment