প্রেসকার্ড ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার ২৯৪ টি আসনের জন্য ৮ টি ধাপে ভোট হয়েছিল। ২ মে, ভোট গণনায় তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) ২১৩ টি আসন জিতে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপরই রাজ্য জুড়ে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।বেশিরভাগ স্থানেই হিংসার শিকার বিজেপি নেতা-কর্মীরা।আর এর অভিযোগের তীর রয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের ওপর।
বুধবার তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের মতো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করলেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের অনেক বড় নেতা-মন্ত্রীরা।কিন্তু আমন্ত্রিত হওয়া সত্ত্বেও উপস্থিত ছিলেন না দিলীপ ঘোষ।
এই দিনই রাজ্যে এসে আক্রান্ত ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত বিজেপি সদস্যদের বাড়ি যান দিলীপ ঘোষ, সঙ্গে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা।এই হিংসার পরিবর্তে আন্দোলনেও বসেন তারা।
শপথ নেওয়ার পর একাধিক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল সুপমো। তিনি দল,জাত, ধর্ম নির্বিচারে নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষতিপূরণ দিতে চলেছি যাঁরা নির্বাচনের পর হিংসার বলি হয়েছেন তাঁদের পরিবারকে। দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আর সেখানে কোনও দল, রং, জাত, ধর্ম দেখা হবে না। প্রত্যেক মৃত্যুই দুঃখজনক। ক্ষতিপূরণ দিয়ে সেই দুঃখ মেটানো যায় না। তবু আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করার পরিবর্তে রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে।যারা এই হিংসার রিপোর্ট দেবেন। এর আগেও তিনি ঈদের আগে ১২,০০০ পর্যন্ত অ্যাডহক বোনাস দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে তার জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
No comments:
Post a Comment