প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২.০ সরকারের দুই বছরের যাত্রা চ্যালেঞ্জিং ছিল। দ্বিতীয় মেয়াদের বেশিরভাগ সময় সরকারকে করোনা মহামারীর মোকাবেলা করতে হয়েছে। এই সময়ে, সিএএর বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং বর্তমান কৃষক আন্দোলনও তাদের জন্য মাথা ব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যে, তারা সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা প্রদান এবং অযোধ্যাতে রাম মন্দির নির্মাণের পথ সুগম করেছে।
এই দুই বছরে আমরা যদি সরকারের কার্যকারিতা লক্ষ্য করি তবে তা ওঠানামা করছে। নতুন সরকারে অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পরে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বড় ও কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি ছিল সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা যা জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। এর পরে, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত অনুসারে, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্ত করা হয়েছিল এবং এর জন্য একটি কমিটিরও গঠন করা হয়েছিল। পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন মন্দিরের ভূমি পূজন অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছিলেন।
এছাড়াও, কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন সচিবালয় কমপ্লেক্স নির্মাণ এবং নতুন সংসদ ভবন সহ বিভিন্ন মন্ত্রকের নতুন ভবন সম্পর্কিত একটি বিস্তৃত কেন্দ্রীয় ভিস্তা প্রকল্পও শুরু করা হয়েছিল। নতুন সংসদ ভবনের নির্মাণ কাজও শুরু হয়েছে এবং এটি স্বাধীনতার years৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পরের বছর শেষ হবে। করোনার মহামারীটির মুখে স্বনির্ভর ভারত অভিযান শুরু হয়েছিল এবং ইতিবাচক ফলও পেয়েছে। এই সময়ে মোদী সরকারের সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জও এসেছিল। প্রথমত, তিনি সিএএর তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে প্রতিবাদ করেছিলেন, এমনকি এই সময়ে দিল্লিতে দাঙ্গা হয়েছিল।
গত ২ বছরে মোদী সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত:
১. জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা প্রদানের সংবিধানের ধারা ৩৭০ এর সমাপ্তি
২. নাগরিকত্ব সংশোধন আইনে সংসদের অনুমোদন
৩. নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির অনুমোদন
৪. এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্পের দেশব্যাপী বাস্তবায়ন
৫. রাম মন্দির নির্মাণের পথ সুগম করা
৬. নতুন সংসদ এবং সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের সূচনা
৭. সংসদে তিনটি নতুন কৃষি আইনে অনুমোদন
৮. স্বনির্ভরতা অভিযান শুরু
No comments:
Post a Comment