প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সর্বদা চীনের দৃষ্টি স্থির থাকে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্য ইতিমধ্যে এই অঞ্চলের জন্য নিয়মিত কৌশল তৈরি করছে। এখন ভারতও এখানে আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। তাই সমুদ্রের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভারতীয় নৌবাহিনী সরকারকে ছয়টি পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন (এসএসএন) নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানিয়েছে। চলতি বছরের ৪ মার্চ গুজরাটের কেভাড়িয়ায় একটি যৌথ কমান্ডার সম্মেলনের পরে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ভারতীয় নৌবাহিনীর অপারেশন সমুদ্র সেতু ২-এর কথা উল্লেখ করে এ বিষয়ে বলেছিলেন।
বলা হচ্ছে যে পারমাণবিক চালিত সাবমেরিনগুলি ভারতীয় নৌবাহিনীকে আরও বেশি শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। এটির মাধ্যমে নৌবাহিনী ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে টহল দিতে পারে। ইংরেজি সংবাদপত্র হিন্দুস্তান টাইমসের সাথে কথা বলার সময় একজন অ্যাডমিরাল বলেছিলেন, "ভবিষ্যতটি কেবল ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরেই নয়, আর্টিকের রুটেও রয়েছে, যা বরফ গলে যাওয়ার কারণে চালু হতে চলেছে।"
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ভারত চীনা নৌবাহিনীর শক্তি মোকাবেলায় প্রস্তুত। পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিনগুলির এই প্রকল্পটি ভারতীয় নৌবাহিনীকে চীনা নৌবাহিনীর ক্রমবর্ধমান শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি পদক্ষেপ হিসাবে দেখা উচিৎ। চীনা নৌবাহিনীর শক্তি ক্রমাগত বাড়ছে। চীন যুদ্ধ জাহাজের সংখ্যার দিক থেকে মার্কিন নৌবাহিনীকে ছাপিয়ে গেছে। ভারতে কেবলমাত্র একটি এসএসএন রয়েছে এবং ২০২৫ সালের আগে আরও একটি ইজারায় আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment