প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: করোনার যুগে যে আরও কত কিছু দেখতে হবে কেউ জানে না। নদীগুলিতে ভাসমান মৃতদেহ দেখার পর এখন উন্নাও থেকে ভয়াবহ চিত্র সামনে এসেছে। এখানে লোকেরা মৃতদেহ গঙ্গার তীরে বালির মধ্যে কবর দিয়েছিল। শুক্লগঞ্জ হাজীপুরের রৌতাপুর গঙ্গা ঘাটে বালিতে কবরস্থান দেখে সকলেই হতবাক। বলা হচ্ছে যে শ্মশানঘঘটে কাঠের ঘাটতি ও ব্যয়বহুল হয়ে যাওয়ার কারণে লোকেরা হিন্দু রীতিনীতি ছেড়ে মৃতদেহকে সমাধিস্থ করা শুরু করেছে। গত বিশ দিন ধরে রৌতাপুর ঘাটে এটি দেখা গেছে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন মৃতদেহ কবর দিচ্ছেন। বুধবার এখানে আসা ১৬ টি মৃতদেহের মধ্যে ১৩ টিকে বালুতে সমাহিত করা হয়েছিল।
গ্রামবাসীরা জানান, ঘাটে কাঠ না থাকায় পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। যিনি কাঠের ব্যবস্থা করতে পারেন, তিনি মৃতদেহ জ্বালাতে পারছেন, নইলে বেশিরভাগ মৃতদেহ বালির মধ্যেই সমাহিত করা হচ্ছে। তবে এখন এই ঘাটে সমাধি দেওয়ার জায়গাও আর নেই। এ কারণে, শেষকৃত্য করতে যারা আসেন তাদের অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। কাঠ বা জায়গা কোনো কিছুই নেই। বুধবার প্রায় ১৬ টি মৃতদেহ ঘাটে পৌঁছেছিল। ঘাট থেকে দু'শ থেকে তিনশ মিটার দূরে ছয় ফুটেরও বেশি গর্ত খনন করে ১৩ টি মৃতদেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল। লোকেরা বলছেন, বন্যার দিনগুলিতে এই মরদেহগুলি গ্রামে প্রবাহিত হবে, যার ফলে রোগ ছড়াবে। গঙ্গার জল দূষিত হবে। এসিএম সদর সত্যপ্রিয়া বলেছেন যে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াটি গঙ্গার তীরে রয়েছে, শত শত মৃতদেহ যদি সমাহিত করা হয় তবে তার তদন্ত করা হবে।
No comments:
Post a Comment