বিশ্ব বর্তমানে কোভিড -১৯-এর মহামারীর মুখোমুখি। একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া আরও একটি সঙ্কটের মুখোমুখি হচ্ছে। ইঁদুর সন্ত্রাসের কারণে অস্ট্রেলিয়ায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সেখানে ইঁদুরের সংখ্যা তীব্র বৃদ্ধি পাওয়ার পরে, বাইবেল অনুসারে প্লেগ রোগে কাবু হওয়ার অশংকা করছেন বাসিন্দারা । এই পরিস্থিতিতে ইঁদুর সন্ত্রাস দমনে ভারত সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়া সরকার।
ইঁদুরের কারণে অস্ট্রেলিয়ার কৃষকরাও বিচলিত। ইঁদুর তাদের ফসল নষ্ট করছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে বেড়ে গেছে যে ইঁদুররা ঘুমন্ত মানুষকে কামড় দিচ্ছে। একটি পরিবার বৈদ্যুতিক তারের চিবিয়ে তাদের ঘর পোড়াবার জন্য ইঁদুরদের উপর দোষ দেয়। সেখানকার সরকার এখন এই ইঁদুর মোকাবেলা করার উপায় খুঁজে বের করছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইঁদুরের সংখ্যা হ্রাস না হলে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকটে পড়বে অস্ট্রেলিয়া।
কৃষিমন্ত্রী অ্যাডাম মার্শাল বলেছিলেন, " আমরা যদি বসন্তের মধ্যে ইঁদুরের সংখ্যা কমাতে না পারি তাহলে গ্রামীণ ও আঞ্চলিক নিউ সাউথ ওয়েলস সহ আমাদের সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সঙ্কটের মুখোমুখি হতে পারি।" ”
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য সরকার পরিস্থিতিকে অভূতপূর্ব হিসাবে বর্ণনা করেছে। ব্রুস বার্নস নামে এক কৃষক জানিয়েছেন যে তিনি বোগান গেটের কেন্দ্রীয় নিউ সাউথ ওয়েলস শহরের কাছে তার জমিতে ফসল রোপণের মাধ্যমে একরকম জুয়া খেলছেন। তিনি বলেছিলেন, "আমরা কেবল বপন করছি এবং আশা করি কঠোর পরিশ্রম নষ্ট হবে না"।
অনেক বাসিন্দারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ইঁদুরের কামড়ে। প্রতিবেদন অনুসারে, ইঁদুরগুলির সর্বত্র উপস্থিত রয়েছে। ঘর, ছাদ, স্কুল এবং হাসপাতালের আসবাবগুলির সর্বত্র ইঁদুরের সন্ত্রাস চলছে। ইঁদুরের পচা ও মলমূত্রের গন্ধে মানুষ অস্থির হয়ে পড়ছে । এ থেকে অনেকে অসুস্থ হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। সেখানকার সরকার ভারত থেকে 5000 লিটার ব্রোমডিওলোন বিষের দাবি করেছে, যাতে ইঁদুরের সন্ত্রাস মোকাবেলা করা যায়।
No comments:
Post a Comment