বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) ভোটের ষষ্ঠ দফায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার পাঁচ মন্ত্রীসহ এক ডজনেরও বেশি হেভিওয়েট প্রার্থীদের ভাগ্য ইভিএম-তে সীলমোহর করা হবে। এই পর্যায়ে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ১৭ টি আসন ছাড়াও নদিয়া ও উত্তর দিনাজপুরে নয়টি আসন এবং পূর্ব বর্ধমানের আটটি আসনে ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে।
ইভিএমে বন্ধ হতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের পাঁচ মন্ত্রীর ভবিষ্যত। এর মধ্যে রয়েছে গওয়ালপাখারের মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, কৃষ্ণনগর দক্ষিণের উজ্জ্বল বিশ্বাস, হাবড়ার জ্যোতিপ্রিয়া মল্লিক, দম দম উত্তর থেকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পূর্ব প্রাচ্যের স্বপন দেবনাথ।
এ ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান প্রার্থীদের মধ্যে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায়, নৈহাটি থেকে পার্থ ভৌমিক, ব্যারাকপুর থেকে রাজ চক্রবর্তী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ নিয়ে নির্বাচনের এই পর্বে বিজেপির বহু প্রবীণ নেতার ভবিষ্যত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসনটি কৃষ্ণনগর উত্তর বলে মনে করা হচ্ছে, সেখান থেকে বিজেপির জাতীয় সহসভাপতি মুকুল রায় প্রার্থী । বৃহস্পতিবার বিজপুরের শুভ্রংশু রায়, ভাটপাড়া থেকে পবন সিং, জগদল থেকে অরিন্দম ভট্টাচার্য, নোয়াপাড়ার সুনীল সিংহ, খড়দহ থেকে শিলভদ্র দত্ত নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ ধাপে, বৃহস্পতিবার ৪৩ টি আসনে ভোট হবে। ১.০৪ কোটিরও বেশি ভোটার ৩০৬ প্রার্থীর রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। করোনার ভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেছিলেন যে পূর্ববর্তী পর্যায়ে সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে কঠোর সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শীতলকুচিতে গুলিতে ৪ জন মারা গেছেন
নির্বাচনের চতুর্থ দফায় ১০ এপ্রিল কোচবিহারে পাঁচজন মারা গিয়েছিলেন। তাই কমিশন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে ষষ্ঠ ধাপে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৯৩২ কোম্পানি মোতায়েন করেছে।
No comments:
Post a Comment