নিজস্ব প্রতিনিধি, বাংলাদেশ: বাংলাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। এমনিতেই মহামারী করোনা ভাইরাস রোগের তীব্রতা আরও বেড়েছে। শ্মশান ও গোরস্থানে সৎকারের অপেক্ষায় দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যু ব্যক্তিদের লাশের সারি। বাংলাদেশে চলছে লকডাউন।
তার ওপর যারা বাধ্য হয়ে কাজে বের হচ্ছেন, দুপুরের গরমে তাদের অবস্থা কাহিল। বিশেষ করে রাস্তায় খেটে খাওয়া মানুষগুলোর নাভিশ্বাস উঠছে। করোনায় মুখে মাস্ক পরার কথা থাকলেও রিকশাওয়ালা বা শ্রমজীবীদের গরমে-ঘামে মুখে মাস্ক রাখতে কষ্ট হচ্ছে।
ভ্যান নিয়ে সবজি, ফল যারা বিক্রি করছেন তারাও চেষ্টা করছেন একটু ছায়ায় দাঁড়াতে। রোদ সরাসরি না লাগলেও তাপদাহে পুড়ছেন তারাও।
বাংলাদেশে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশে প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে করোনা রোগীর শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে।
ঢাকাতে ৪০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া রাজশাহীতে ৪১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও যশোরে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে ২১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, চলতি মাসে তাপমাত্রা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। দুই এক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কম বেশি হতে পারে। তাপপ্রবাহও আগের মতোই থাকবে। কিছু কিছু এলাকায় আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে কালবৈশাখী হতে পারে। সঙ্গে কিছু বৃষ্টিও। এতে তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসতে পারে।
No comments:
Post a Comment