প্রেসকার্ড ডেস্ক: করোনার মহামারীটি সর্বনাশ চালিয়ে যাচ্ছে। দিল্লি ও ভোপালের মতো শহরে মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, দিল্লি বা ভোপালে, করোনার ভাইরাসের কারণে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে কবরস্থান এবং শ্মশানগুলিতে সংস্থার সংকট রয়েছে । এমনকি কবরস্থান ও শ্মশান ঘাটগুলিও প্রসারিত করতে হবে।
দিল্লিতে কবরস্থানের খারাপ অবস্থা
কোভিড -১৯ এর কারণে নিহতের সংখ্যা বাড়ার কারণে নগরীর কবরস্থান ও শ্মশানগুলিতে সংস্থার অভাব দেখা দিয়েছে। সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, এপ্রিলের প্রথম ১৩ দিনে এই সংক্রমণে ৪০৯ জন মারা গিয়েছিলেন, আর মার্চে ১১৭ জন এবং ফেব্রুয়ারিতে ৫৭ জন মারা গিয়েছিলেন।
দিল্লির আইটিওর কাছে কবরস্থান আহলে ইসলামের মাশকুর রশিদ বলেছিলেন যে, এই জাতীয় মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যে কবর দেওয়ার জমি কম করবে। তিনি বলেছিলেন, 'গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫টি মরদেহ সমাহিত করা হচ্ছে। গতকাল ১৮ টি লাশ কবর করা হয়েছে। আইটিও-তে কবরস্থানের পরিচালনা কমিটির সদস্য মাশকুর রশিদ জানান, স্থানীয় কবরস্থানে জায়গার অভাবে সারা শহর থেকে এখানে লাশ নিয়ে আসা হচ্ছে।
কবরের জন্য আরও খনন করা হবে
উত্তর দিল্লির মেয়র জয় প্রকাশ বলেছিলেন যে, তিনি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে চিঠি লিখেছেন যাতে জমি সমাধির ব্যবস্থা করতে সহায়তা চাওয়া হয়। কর্পোরেশনের এক আধিকারিক বলেছিলেন যে, কোভিড -১৯ এর ক্ষতিগ্রস্থদের কবর দেওয়ার জন্য গভীর সমাধিস্থল খনন করতে হবে এবং খনন করতে অনেক সময় লাগবে, তাই মেশিন খননের প্রয়োজন। তিনি বলেছিলেন, "সাধারণত কবরগুলি চার থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত খনন করতে হয়, তবে কোভিড -১৯ এর ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য, ১২-১৪ ফুট মাটি খনন করতে হবে। সংক্রামক ভাইরাসের কারণে সমাধির স্থানটি আবার ব্যবহার করা যাবে না।
No comments:
Post a Comment