প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : কেল হল বাঁধাকপি পরিবারের এক সদস্য। চিকিৎসা ক্ষেত্রে কেল ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। চিকিৎসকরা সবসময় কেল খাওয়ার পরামর্শ দেন। এটি ডায়াবেটিসে বিশেষ উপকারী। তা ছাড়া এটি হৃৎপিণ্ডের জন্যও উপকারী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে প্রতিদিন কলার রস পান করুন। বেশ কয়েকটি গবেষণা থেকে জানা গেছে যে কেলের রস পান করোনার আর্টারি ডিজিজ হওয়ার ঝুঁকি কমায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক করোনার ধমনী কী এবং কেল রসের ব্যবহার কীভাবে করা যায়-
কেল কি?
কেল বাঁধাকপি পরিবারের সাথে সম্পর্কিত। সাম্প্রতিক সময়ে, কেল বিশ্বব্যাপী খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে ভিটামিন-এ, আয়রন, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ডায়েটি ফাইবার, ফেনলিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কেল মূলত এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলিতে পাওয়া যায়। বৈজ্ঞানিক ভাষায় একে বলা হয় ব্রাসিকা ওলেরেসিয়া। অনেক জায়গায় একে বন্য বাঁধাকপিও বলা হয়।
যেমনটি আমরা সবাই জানি যে হার্টের কাজ রক্ত পাম্প করা। অক্সিজেন সহ রক্তে প্রচুর পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় যা শরীরকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। শরীরে এই রক্ত সরবরাহকারী জাহাজগুলিকে করোনারি ধমনী বলে । এই বাধাগুলির কারণে, হৃদপিণ্ডে রক্ত সঠিকভাবে সংক্রমণ হয় না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনারি ধমনীতে ফলক জমে রক্ত সঞ্চালনকে বাধা দেয়। এটি হৃৎপিণ্ডে রক্ত এবং অক্সিজেন উভয়ের সরবরাহ হ্রাস করে। এই অবস্থার নাম করোনারি আর্টারি ডিজিজ। গবেষণা গেটে প্রকাশিত একটি গবেষণামূলক গবেষণাপত্রে কেলের সুবিধাগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। এই গবেষণাটি ৩২ জনের উপর করা হয়েছিল। এতে, ৩২ জন লোককে ১২ সপ্তাহের জন্য প্রতিদিন ১৫০ মিলি কেলের রস পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এটি করোনারি ধমনী রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। তবে এটি ব্যক্তির ধূমপানের উপর নির্ভর করে। এ জন্য ধূমপান এড়াতে হবে।
No comments:
Post a Comment