প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : নিরামিষাশীদের মধ্যে পনির খুব জনপ্রিয়। এটি অতিথিদের রান্না করা বা বাড়িতে বিশেষ কিছু পদ তৈরি করাই হোক না কেন, পনির এতে সর্বদা অন্তর্ভুক্ত থাকে। পানির বহু স্বাস্থ্য উপকারের জন্য পরিচিত। এটি পুষ্টিতে ভরা এবং এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। তবে পনির খাওয়ার উপকারের পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে, যা সম্পর্কে আপনার অবশ্যই জানা উচিৎ।
কোলেস্টেরল :
পনির খুব শক্তিশালী খাবার, তাই আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ বা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তবে আপনার এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিৎ। পনিরে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে, তাই এটি শরীরে কোলেস্টেরলের উচ্চ মাত্রায় বৃদ্ধি করতে পারে।
আপনি যদি প্রতিদিন পনির খাচ্ছেন তবে অনুশীলনটি গুরুত্বপূর্ণ , তবে নিয়মিত অনুশীলন করুন কারণ এটি ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করবে। তা না হলে আপনার ওজন বেড়ে যেতে পারে।
অ্যালার্জি :
কিছু লোকের পনির থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। এ জাতীয় লোকদের পনির থেকে দূরে থাকা উচিৎ। এছাড়াও নিম্নমানের পনির মানুষের মধ্যে ত্বকের অ্যালার্জির বিকাশের কারণ হতে পারে।
পেটের সমস্যা :
যাদের হজম ব্যবস্থা দুর্বল তাদের পক্ষে উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত পনির তাদের পাচনতন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই অতিরিক্ত পনির গ্রহণের ফলে তারা ফোলাভাব, গ্যাস, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ব্যথা অভিযোগ করতে পারে।
পনিরের উপকারিতা :
উচ্চ ক্যালোরি :
পনিরের মধ্যে উচ্চ ক্যালসিয়াম রয়েছে। এই ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে এবং অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ করে।
ভিটামিন এ :
পনিরের মধ্যে ভিটামিন এ ভাল পরিমাণে আছে। ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টি উন্নত করতে সহায়তা করে এবং আমাদের ত্বককে আরও উন্নত ও স্বাস্থ্যকর রাখে। এগুলি ছাড়াও পনির অন্যান্য জিনিস রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী।
দাঁতের ক্ষয় রোধ :
পনিরে উপস্থিত ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন শরীরের অনেকগুলি প্রক্রিয়ায় সহায়ক। এটি দাঁতের ক্ষয়ও রোধ করে।
শক্ত দাঁত এবং হাড় :
পনিরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা শক্ত দাঁত এবং শক্তিশালী পেশী তৈরি করতে সহায়তা করে।
বিপাক :
পনির শরীরের বিপাক উন্নত করতে সহায়তা করে।
No comments:
Post a Comment