প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : আয়ুর্বেদে হলুদকে সঞ্জীবনী ঔষধি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি মশলা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এটিতে অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে যা স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য উভয়ের জন্যই উপকারী। চিকিৎসা ক্ষেত্রে এটি প্রসাধনী ব্যবহার করা হয়। চিকিৎসকরা সবসময় প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দেন। এটি পরিবর্তিত ঋতুতে সংক্রমণের ঝুঁকিও হ্রাস করে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস রোগে হলুদ কোনও ওষুধের চেয়ে কম নয়। এটি গ্রহণ রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগীও হন এবং রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান তবে প্রতিদিন এর মতো হলুদ গ্রহণ করুন-
একটি গবেষণা অনুসারে হলুদে কাকুর্মিন পাওয়া যায় যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এটি গ্লাইসেমিয়া হ্রাস করে। এ জন্য ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন সকালে সকালের প্রাতঃরাশে হলুদ দুধ খাওয়া উচিৎ।
হলুদ, দুধ এবং গোলমরিচ
এক গ্লাস হালকা গরম দুধ মিশিয়ে তৈরি করুন। এর পর দুধ ঠাণ্ডা করুন। এবার গোলমরিচ মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। হলুদে কাকুর্মিন পাওয়া যায়। এটি গ্রহণ রক্তনালীগুলিকে সুরক্ষা প্রদান করে।
হলুদ ও দারচিনি :
সকালে হলুদ, দুধ এবং দারচিনি ভাল করে মিশিয়ে প্রতিদিন খেয়ে ফেলুন। এটি অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে দারুচিনি ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে পারে। এছাড়াও রক্তে শর্করার মাত্রা কম থাকে।
হলুদ, আদা ও দুধ :
এক চিমটি আদা গুঁড়ো হলুদ ও দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া আমলকির রসের সাথে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে ডাইবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটিতে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
No comments:
Post a Comment