নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুর: রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের পর এই প্রথম পরিদর্শনে এলেন কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল বা ন্যাক। যার সদর দফতর দক্ষিণ ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় গ্রান্ট কমিশনের অন্যতম স্তম্ভ ন্যাকের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার সহ অন্যান্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তাঁরা।
রাজ্যে পালাবদলের পর রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো ২০১৫ সালে এই কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেয় রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর। ধীরে ধীরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। বর্তমানে স্নাতকস্তরের পঠনপাঠনের পাশাপাশি পিএইচডি গবেষণা করানো হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উপকৃত হয়েছে এই জেলার হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী। কিন্তু ন্যাকের গ্রেডেশন না থাকায় এতদিন শিক্ষাক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক অনুদান থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। এবারে ন্যাকের অনুমোদন মিললেই সেই সমস্ত আর্থিক বরাদ্দ সহজেই বিশ্ববিদ্যালয় পেয়ে যাবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ৷
পাঁচ রাজ্য থেকে পাঁচ জনের প্রতিনিধি দল এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে। ন্যাকের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন মীরাজউদ্দিন মীর, বসন্ত যুগলে, মনু প্রতাপ সিং, অ্যাডাম পোল পাটেটি, অনিল চিল্লার। বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনেরধরণ, উদ্ভাবনমূলক প্রক্রিয়া, গবেষণা সম্পর্কিত সহ অন্যান্য বিষয় গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখে ন্যাকের প্রতিনিধি দল। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কী ধরনের র্যাংক পাবে মূলত তা নির্ভর করছে ন্যাকের প্রতিনিধি দলের মূল্যায়ণের ওপর। তবে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন দীপক রায় বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের পর এই প্রথম ন্যাকের প্রতিনিধিদল এসেছে। আমরা সব দিক থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত বিভাগ পরিদর্শন করছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। আশা করছি রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় ভালো র্যাংক পাবে ন্যাকের কাছ থেকে।’ আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবেন প্রতিনিধিরা।
No comments:
Post a Comment