শান্তনু পান, পশ্চিম মেদিনীপুর: স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে সপ্তাহব্যাপী প্রেমিককে নিজের বাড়ীতে রেখে পরকীয়ায় মাতলেন দাসপুরের কুমারীচক গ্রামের ঘাঁটাপাড়ার এক গৃহবধূ। এমনই মারাত্মক অভিযোগের ঘটনায় উত্তাল হল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের ওই গ্রাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূর স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। বাড়ীতে শাশুড়ি আর বৌমা। পাড়ার মাটির বাড়ী থেকে কিছুটা দূরে নিরালায় তৈরি হয়েছে নতুন পাকাবাড়ি। সেই বাড়ীতেই থাকত বৌমা। রান্না খাওয়া ওই বাড়ীতেই হয়। তবে, শাশুড়ি শুধুমাত্র খাওয়ার সময়ই নতুন বাড়ীতে যেতেন। পাড়া প্রতিবেশীদের অভিযোগ, এই সুযোগেই কয়েক দিন আগে পূর্ব মেদিনীপুর এলাকার এক যুবককে রাতের অন্ধকারে বৌমা নিজের শোওয়ার ঘরে এনে তোলে এবং দিনের পর দিন তারা পরকীয়া চালায়। মঙ্গলবার তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন পাড়া প্রতিবেশীরা। কোমরে দড়ি বেঁধে গণধোলাই দেওয়া হয় যুবককে। পরে দাসপুর পুলিশ এসে যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
জানা যায়, বাড়ী ছেড়ে বেরোলে গৃহবধূ শোওয়ার ঘরে চাবি দিয়ে বেরোতেন। কিন্তু, মঙ্গলবার সকালে চাবি না দিয়েই বাড়ীর বাইরে বেশ কিছুক্ষণ বেরিয়ে যায় গৃহবধূ। এদিকে, ওই গৃহবধূর পাড়া সম্পর্কিত এক কাকিমা বৌমাকে ডাকতে গিয়ে দেখেন, প্রায় বিবস্ত্র হয়ে বৌমার বিছানায় শুয়ে এক অচেনা যুবক। সঙ্গে সঙ্গে দরজায় শিকল দিয়ে পাড়া প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন তিনি। বৌমা এবং ওই যুবককে বেঁধে চলে গণপ্রহার। বৌমা স্বীকার করে নেয়, ছেলেটির সাথে তার সম্পর্কের কথা। ফোনে সমস্ত বিষয় জানানো হয়, ভিনরাজ্যে কর্মরত স্বামীকে। স্বামী সব শুনে ওই যুবকের সাথেই তাঁর স্ত্রী’র বিয়ে দিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তবে, ওই প্রস্তাবে রাজি হয়নি স্ত্রী!
ইতিমধ্যেই, দাসপুর পুলিশ এসে যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। অন্যদিকে, পাড়া প্রতিবেশীরা গৃহবধূর বাপের বাড়ীতে খবর দিলে, তার বাবা এসে মেয়েকে নিয়ে যান বলে জানা গিয়েছে। তবে, এই ঘটনা নিন্দনীয় হলেও, পাড়াপ্রতিবেশীরা যেভাবে আইন হাতে তুলে নিয়ে, ওই যুগলের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালিয়েছেন, তা নিয়েও বিভিন্ন মহল নিন্দায় সরব হয়েছে ইতিমধ্যে।
No comments:
Post a Comment