নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুর: হাতে বাকি আর কয়েকটা দিন, তার পরেই বসন্ত উৎসব। বসন্ত উৎসব মানেই নানা রঙের খেলা। আর বাজার চলতি রাসায়নিক মিশ্রিত আবিরে চোখ ও চামড়ার নানা সমস্যা দেখা দেয়, তাই ভেষজ আবিরের চাহিদা গত কয়েক বছর ধরেই বেড়েছে।
সেই বাড়তি চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখেই উত্তর দিনাজপুর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে চোপড়া ব্লকের একাধিক গোষ্ঠীর মহিলারা ভেষজ আবির তৈরি করে চলেছেন। ভেষজ আবির প্রস্তুতকারী মহিলাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, গাঁদা ফুল, হলুদ, বিট, গোলাপ, পলাশ সহ বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করতে হয় এই আবির তৈরিতে। এধরনের আবির ব্যবহারে চামড়া, চোখ বা শরীরে কোন রকম ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না।
সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮-১০ জন মহিলার ধন্দুগছ শক্তি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের মধ্যে অনিমা মজুমদার, শিমতি বিশ্বাস, সোমা মণ্ডল দাস প্রত্যেকে সারা বছর বিভিন্ন জাতের মাশরুম চাষে মনোনিবেশ করেন। তবে গত দুই বছর ধরে দোল আসলেই তারা ভেষজ আবির তৈরি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরেন। নিজের এলাকা তো বটেই, ইসলামপুর, বিধাননগর, শিলিগুড়ি ও কোচবিহার পর্যন্ত পৌঁছে দেন এই ভেষজ আবির।এবার ইতিমধ্যে তাদের কাছে অর্ডার আসতে শুরু করেছে।
দলনেত্রী অনিমা মজুমদার বলেন, গতবার দেড় ক্যুইন্টাল ভেষজ আবির তৈরি করা হয়। এবার আরও বেশি পরিমাণ তৈরির টার্গেট নেওয়া হয়েছে। এবারে ১০০ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত প্যাকেটে করা হবে।
No comments:
Post a Comment