নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা: পশ্চিমবাংলা সরকার ওয়েবেলের মাধ্যমে প্রায় ৫৫০০ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল, যারা চাকরির অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে পেয়ে ভেবেছিলেন বুঝি তাদের দিকে ওপরওয়ালা মুখ তুলে চেয়েছে এবার। মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করতে শুরু করেন এই কর্মীরা - আশা সরকার একদিন না একদিন তাদের স্থায়ী কর্মী হিসেবে গণ্য করবে। বিশেষত এদের কাজ থাকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্প গুলিতে। এই দপ্তরের নাম বাংলা সহায়তা কেন্দ্র ।
১৬ ই অক্টোবর ২০২০ তে খুশির বাঁধ ভেঙেছিল এই সকল ঠিকা কর্মীদের, যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একটি অর্ডার জারি করেন যেখানে বলা হয়েছিল ৬০ বছর অব্দি এই কর্মীদের চাকরি সুনিশ্চিত ।
কিন্তু চাকরির সুনিশ্চিয়তা তো দূরস্ত, জানুয়ারি ২০২১-এর মাইনেও বকেয়া হয়ে রয়েছে এখনও। এর পর ভোটের দিন ডিক্লেয়ার হয়ে যাওয়াতে মুখ্যমন্ত্রী ও সরকার ব্যস্ত নির্বাচনের কাজে কিন্তু এই সকল বি এস কে কর্মীদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে কেউ ভাবছে না বলে মনে করছেন তারা। অগত্যা সরকারের পক্ষে আনুগত্য দেখিয়েও যখন কোনও সুরাহাই পাওয়া যাচ্ছে না তখন তারা বাধ্য হয়েই ধর্নায় বসেছিল সল্টলেকের পঞ্চায়েত ও রুরাল ডেভেলপমেন্ট অফিসের সামনে।
সুরাহা অবিলম্বে না মিললে এই সকল কর্মী ও তাদের পরিবার পরিজন আসন্ন বিধানসভা ভোটে ভোটদান থেকে বিরত থাকবে বলে জানাচ্ছেন, যাতে সরকার পক্ষের তরফে ২২০০০ এর বেশি ভোট হারাতে পারে তৃণমূল সরকার। যদি এই ৫৫০০ কর্মীর পরিবারে ৪ জন করে থাকে। এখন এটাই দেখার যেখানে সব দলই কর্মসংস্থানের কথা বলছে সেখানে সরকার পক্ষ এই বি এস কে কর্মীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কি ভাবছেন ?
No comments:
Post a Comment