শান্তনু পান, ঝাড়গ্রাম: বন দফতরের সচেতনতা মূলক প্রচার যাই থাকুক না কেন, জঙ্গলে গাছের শুকনো ঝরা পাতায় আগুন লাগানোর ছবি এখনও দেখা যায়। নিয়মিত জঙ্গলে কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। দাউ দাউ করে পুড়তে থাকে একের পর এক জঙ্গল। মানুষের লাগানো আগুনে বন্য পশু পাখির স্বাভাবিক জীবনযাপন বিঘ্নিত হয়। এইরকম একটি ঘটনার শিকার নয়াগ্ৰামের তপোবন জঙ্গলের একটি হরিণ শাবক।
আগুনের ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে তপোবন জঙ্গল থেকে দলছুট একটি হরিণ শাবক ঢুকে পড়ে ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের কুপড়াখুপি গ্রামে। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে এলে দু দিন আগে থেকে ওই হরিণ শাবকটিকে ধরার চেষ্টা করেন গ্রামবাসীরা, তবে তারা ধরতে পারেননি।
আতঙ্কে একের পর এক গ্রামে ঘুরতে থাকে ওই হরিণ শাবকটি। শেষমেশ বুধবার ভোররাতে কোনও প্রাণীর আক্রমণে মৃত হরিণ শাবকটির দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় সাঁকরাইল ব্লকের রগড়া অঞ্চলের দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা সুমিত্রা সিংয়ের বাড়ীর সামনে।
ওই হরিণ শাবকের মৃতদেহ গ্রামবাসীর নজরে এলে আশেপাশের গ্রাম থেকেও স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন মৃত শাবকটিকে একবার দেখার জন্য। কীভাবে মারা গেল ওই মৃগ শাবকটি তার প্রকৃত কারণ জানা না গেলেও, গ্রামবাসীদের অনুমান রাতের অন্ধকারে কুকুরের আক্রমণে প্রাণ হারায় হরিণ শাবকটি।
খবর পেয়ে শাবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যান বনকর্মীরা। তবে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দু দিন ধরে একটি বন্য প্রাণী জঙ্গলের বাইরে ঘুরলেও প্রাণীটিকে উদ্ধার করার কোন পদক্ষেপ নিল না কেন বন দফতর?
No comments:
Post a Comment