গুড় খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারীতা!

প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : শীতে গুড় বেশি ব্যবহৃত হয়। গুড় শীতে সর্দি-কাশি রোধ করে, পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। শীতকালে, এটি আমাদের দেহের উষ্ণতা দেয়, পাশাপাশি হাঁপানির মতো গুরুতর রোগ থেকে আমাদের রক্ষা করতে সহায়তা করে। শুধু এগুলিই নয়, গুড় হাড়কে মজবুত করে পাশাপাশি পেট সম্পর্কিত অনেক সমস্যা মেটায়।এতে ভিটামিন-এ, বি, সুক্রোজ, গ্লুকোজ, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, দস্তা, পটাসিয়ামের মতো উপাদান রয়েছে। দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুড় খুবই উপকারী। আসুন জেনে নিই শীতে গুড় কীভাবে উপকারী।

শীতকালে, গুড়ের ব্যবহার আপনার জন্য অমৃতের মতো হবে। উষ্ণতার কারণে এটি সর্দি, কাশি এবং বিশেষত ক্লেম থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে। গুড় দুধ বা চায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে এবং আপনি এর ডিকোশনও প্রস্তুত করতে পারেন।

গুড় পেটের অনেক সমস্যার জন্য এক ঔষধের মত। গুড়ের সাথে বিট নুন মিশ্রণ করে খেলে পেটের সমস্যায় আরাম পাওয়া যায়। এর বাইরে স্নায়ুতন্ত্রকে শক্তিশালী করতেও এটি বেশ সহায়ক।

গুড় আয়রনের একটি দুর্দান্ত উৎস, যা রক্তাল্পতা থেকে মুক্তি দেয়।

রক্তচাপ নিয়ে সমস্যা থাকলে গুড় ব্যবহার করুন। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে।

গুড় হাড়কে মজবুত করে। আদা সহ গুড়ের ব্যবহার জয়েন্টে ব্যথার ক্ষেত্রে খুব উপকারী বলে প্রমাণিত হয়। প্রতিদিন এক টুকরো গুড় আদা দিয়ে খেলে জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

গুড় শরীরকে শক্তিশালী ও সক্রিয় করে তোলে। গুড় একটি ভাল মেজাজ তৈরি করে, এটি আপনার মেজাজকে ভালো করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া মাইগ্রেনের সমস্যায়ও গুড় উপকার করে।

ঠাণ্ডা ও সর্দিতে গুড় কার্যকর। 

গুড় চোখের জন্য উপকারী। যদি আপনার দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাচ্ছে তবে গুড় খাওয়ার অভ্যাসটি উপকৃত হবে।